ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

নড়াইলের পলাতক ৭ রাজাকারের হাজিরার জন্য বিজ্ঞাপন দেয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ১ মে ২০১৮

নড়াইলের পলাতক ৭ রাজাকারের হাজিরার জন্য বিজ্ঞাপন দেয়ার নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নড়াইলের আব্দুল ওয়াহাবসহ ১২ রাজাকারের মধ্যে পলাতক ৭ রাজাকারকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হযেছে ৩ জুন। বিচারপতি আমির হোসেনের নেতৃত্বে দুই সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। আদেশের পর প্রসিকিউটর রিজিয়া সুলতানা চমন জনকণ্ঠকে বলেন, সোমবার পলাতক আসামি মোঃ খন্দকার শওকত আলী ওরফে বাবুলের বিষয়ে রিপোর্ট এসেছে। ট্রাইব্যুনাল পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে একটি বংলা ও একটি ইংরেজী পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য বলেছেন। নড়াইলের ১২ আসামির বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগে রয়েছে। ১২ রাজাকারের মধ্যে কারাগারে আটক আছেন ৫ জন। তারা হলেন আব্দুল ওয়াহার, ওমর আলী শেখ, মোঃ বদরুদ্দোজা, গুলজার খান, দাউদ শেখ। অন্য ৭ জন পলাতক রয়েছেন। এরা হলেন, খন্দকার শওকত আলী বাবুল, মোঃ সোলায়মান ফারুকী ওরফে সোলেয়মান মোল্লা, মোঃ রুহুল কুদ্দুস খান ওরফে কুদ্দুস খান, আব্দুস সাত্তার মোল্লা ওরফে সাত্তার মোল্লা, মোঃ আওয়াল ওরফে আব্দুল আউয়াল ম-ল, আব্দুস সাত্তার সিকদার ও আব্দুল মজিদ মোল্লা। নাশকতার মামলায় আব্দুল ওহাবকে ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর নড়াইল সদর উপজেলার ফুলশ্বর গ্রাম থেকে এবং ওমর আলী শেখকে চলতি বছর গত ২ ফেব্রুয়ারি নড়াইল পৌরসভার বরাশুলা থেকে আটক করা হয়। এরপর ৩ মে প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ দু’জনকে ট্রাইব্যুনালের অধীনে গ্রেফতার দেখানো হয়। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তারা একাত্তরে নড়াইলের তুলারামপুরে হত্যার দুটি ঘটনায় আসামিদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পেয়েছেন। নড়াইলের মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নড়াইল শহরের পুরাতন লঞ্চঘাটে রাজাকাররা ক্যাম্প স্থাপন করে। শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান রাজাকার সোলায়মানের নির্দেশে জল্লাদ ওহাব ও ওমর অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী মানুষকে গলাকেটে লাশ চিত্রা নদীতে ফেলে দেন।
×