ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হিলি স্থলবন্দরের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

হিলি স্থলবন্দরের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ হিলি স্থলবন্দরের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য ১৯৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে হাতে নেয়া হচ্ছে ‘জয়পুরহাট (হিচমী)-পুরান আইপল-পাঁচবিবি-হিলি (শহর লিংকসহ) মহাসড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটি অনুমোদনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি বাস্তবায়িত হলে জয়পুরহাট-পাঁচবিবি-হিলি এবং জয়পুরহাট বাইপাস সড়ক দুটি উন্নয়নের মাধ্যমে টেকসই, নিরাপদ ও ব্যয় সাশ্রয়ী (পরিবহন ব্যয় ও সময়) সড়ক অবকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে সমন্বিত আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিস্টরা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেলে চলতি মাস থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। অন্যদিকে কৃষি জমির স্বল্পতার কারণে বাস্তবতার নিরিখে ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ এবং সে অনুযায়ী ব্যয় প্রাক্কলনের তাগিদ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় এ তাগিদ দেয়া হয়। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর জানায়, জয়পুরহাট-পাঁচবিবি-হিলি এবং জয়পুরহাট বাইপাস সড়ক দুটি জয়পুরহাট জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়ক দুটি হিলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। আমদানি করা পণ্য ও নির্মাণসামগ্রী এই সড়ক দুটি দিয়ে হিলি স্থলবন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহণ করা হয়ে থাকে। তাছাড়া প্রকল্প এলাকায় কৃষিজ পণ্যের মিল-কলকারখানা যেমন চাল, গম, ভুট্টা ও কোল্ডস্টোরেজ স্থানীয়ভাবে স্থাপিত হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও হিলি স্থল বন্দরের সঙ্গে সংযোগকারী এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দুটির অবকাঠামোর তেমন উন্নয়ন হয়নি। বিশেষ করে অপ্রশস্ত পেভমেন্ট এবং সড়কের বিভিন্ন অংশ জরাজীর্ণ থাকার ফলে যান চলাচলে অসুবিধা হয় ও প্রায়ই সড়ক দুঘর্টনা ঘটে থাকে। এজন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ হতে ২৯ দশমিক ৯৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই দুটি সড়ক ৫ দশমিক ৫০ মিটার হতে ৭ দশমিক ৩০ মিটার প্রশস্ততায় উন্নয়নের জন্য মোট ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৭ সালের জুলাই হতে ২০২০ সালে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব করা হয় পরিকল্পনা কমিশনে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটির ওপর ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। পুনর্গঠিত ডিপিপিরমোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯৬ কোটি ৮২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হিলি স্থলবন্দরের সঙ্গে সারা বাংলাদেশের পণ্য পরিবহণ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ প্রকল্প এলাকার জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে এক দশমিক ৩১ লাখ ঘনমিটার সড়কবাঁধে মাটির কাজ, ২৪ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার বিদ্যমান পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ, ৬৫০ মিটার হার্ডসোল্ডার নির্মাণ, ৪০০ মিটার রিজিড পেভমেন্ট, ৫০০ মিটার নতুন ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট নির্মাণ, ১০ মিটার আরসিসি কালভার্ট নির্মাণ এবং ১৮টি আরসিসি কালভার্ট প্রশস্তকরণ ইত্যাদি আনুষঙ্গিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
×