ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশী শক্তি নয় ক্ষমতায় বসাতে পারে দেশের জনগণ ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৭:২৫, ২৭ এপ্রিল ২০১৮

বিদেশী শক্তি নয়  ক্ষমতায় বসাতে  পারে দেশের জনগণ ॥ কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিদেশী শক্তি কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারে না। বিদেশীরা আমাদের শুধু বন্ধু হতে পারে, ক্ষমতায় রাখার মালিক দেশের জনগণ। বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকম-লীর সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসর। ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের জনগণ না চাইলে কি আমরা জোর করে ক্ষমতায় থাকব? জোর করে ক্ষমতায় থাকা যায় না। আর কোন বিদেশী শক্তিও কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারে না। বিদেশীরা আমাদের শুধুমাত্র বন্ধু হতে পারে, ক্ষমতায় রাখা না রাখার মালিক বাংলাদেশের জনগণ। আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের ভারত সফর নিয়ে বিএনপির নানা অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ভারত কি আমাদের ক্ষমতায় বসাবে? পঁচাত্তর পরবর্তীও তারা আমাদের কোন বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। ২০০১ সালে আমরা হেরে গেছি। ভারত কি আমাদের জেতাতে চেয়েছে? তারা তো তখন কোন হস্তক্ষেপ করেনি। কাদের বলেন, ভারত একটি গণতন্ত্রের দেশ। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোন কথা হয়নি। এই সফর ছিল পার্টি টু পার্টির। আমাদের যতটুকু বলতে হয় বলেছি। কিন্তু মোদি নির্বাচন নিয়ে কিছুই বলেননি। আমাদের সম্পর্ক আরও কিভাবে ভাল করা যায় সেসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের জাতীয় স্বার্থে ভারতে যখন যে সরকারই আসবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে বলেও মনে করেন মন্ত্রী। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্তরিক পরিবেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৩২ মিনিটের মতো আলোচনা হয়েছে। আমরা দেশের জনগণের স্বার্থকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। নরেন্দ্র মোদি আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। তিনি বলেন, বিজেপি সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবকে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আশা করছি, তাদের সিনিয়র নেতারা বাংলাদেশ সফরে আসবেন। কাদের বলেন, আমরা তিস্তা চুক্তি, রোহিঙ্গা কোনটাই বাদ দেইনি। দেশের স্বার্থে এসব কথা তুলে ধরেছি। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, আমাদের সীমান্ত কোন সন্ত্রাসীকে ব্যবহার করতে দেব না। বিষয়টি ভাল করে তুলে ধরেছি। তিস্তার পানির জন্য আমাদের দেশে প্রচুর মানুষের হাহাকার আছে। এ অবস্থায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, তিস্তা চুক্তি যদি হয় তা আমাদের দেশের জনগণের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠক হবে। তখন তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়া হবে। আমরা গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছি। এখানে আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, এই দুই এলাকার যারা ঢাকায় আছেন তারাই শুধু নির্বাচনের প্রচারে অংশ নেবেন। অন্য এলাকার কোন লোক ওসব এলাকায় যাবেন না। কোন প্রকারে আচরণবিধি লঙ্ঘন না হয়। এছাড়া যেন ওসব এলাকার জনমনে কোন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়। তিনি বলেন, গাজীপুর এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও কমিশনার স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এখন সরকার যা যা করা দরকার তাই করবে। নির্বাচন কমিশনারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও মহিবুল হাসান চৌধুরী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
×