ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফতুল্লায় দেড় বছর পানিতে ডুবে আছে সড়ক

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ২৭ এপ্রিল ২০১৮

ফতুল্লায় দেড় বছর  পানিতে ডুবে  আছে সড়ক

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইর এলাকায় সুগন্ধা জেলা পরিষদ সড়কটি গত দেড় বছর ধরে হাঁটু সমান পানিতে ডুবে আছে। এতে এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে বাধ্য হচ্ছে। সড়কটির এ দুরাবস্থা থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধসহ নানা কর্মসূচী পালন করেও কোন প্রতিকার পায়নি। এলাকাবাসীকে ডুবে থাকা সড়কটি দিয়েই রিক্সা কিংবা অটোরিক্সা যোগে পার হতে বাধ্য হচ্ছে। জানা গেছে, ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইরের সুগন্ধা জেলা পরিষদ সড়কটি নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ ও এলজিইডির কার্যালয়ের পাশেই অবস্থিত। এ সড়কটি আশপাশে বহুতল ভবন, মসজিদ, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও দোকানপাট রয়েছে। প্রতিদিন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানার শ্রমিক, অফিস আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নানা পেশার লোকজন এ সড়কটি ব্যবহার করে চলাচল করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত দেড় বছর ধরে সড়কটি হাঁটু সমান পানিতে ডুবে আছে। কিছুতেই উক্ত সড়কের জলাবদ্ধতা নিরসন করা যাচ্ছে না। সড়কের পাশের খালটির মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর নিয়ে জানা যায়, সড়কটি থেকে জলাবদ্ধতা দূর করতে ভেকু দিয়ে পাশের খালটি খননও করা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই সড়কের পানি কমছে না। বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। মঙ্গলবার ও বুধবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কটি ডুবে থাকায় পাশে বালির বস্তা ও বাঁশের সাঁকো দিয়ে লোকজন চলাচল করছে। আবার কেউ কেউ অটোরিক্সা কিংবা রিক্সা করে রাস্তার জলাবদ্ধতার অংশটুকু পার হচ্ছেন। এতে প্রতিটি যাত্রীকে ১০ টাকা করে গুনতে হচ্ছে। বৃষ্টিতে সড়কের পানি বাড়লে অটো কিংবা রিক্সার ভাড়াও বৃদ্ধি পায়। দোকানি অজয় বিশ্বাস জানান, এ সড়কটি দিয়ে পূর্ব ইসদাইর, রসুলবাগ, বুড়ির দোকান, গাবলতি, কোতায়েলের বাগ ও দস্তাপুরসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন যাতায়াত করে থাকে। অফিস ছুটি ও শুরুর সময় আবার টিফিনের সময় এ সড়কটি পার হতে ভিড় পড়ে যায়। একই এলাকার দোকানি ফেরদাউস জানান, এ সড়ক থেকে পানি দূর করতে পাশের নিষ্কাশন খালটি ভেকু দিয়ে খননও করা হয়েছে। তবুও এ সড়ক থেকে জলাবদ্ধতা কমানো যায়নি। মাসুদ জানান, এখানকার বাড়িওয়ালা সড়কের এ দুরাবস্থার কারণে মহাবিপদে পড়েছে। তাদের বাড়িঘর ছেড়েও তারা যেতে পারছে না। কিন্তু ভাড়াটিয়ারা সড়কটি ডুবে থাকায় অন্যত্র চলে যাচ্ছে। আবার নতুন করে উক্ত এলাকায় কেউ ভাড়া বাড়িতে আসতে রাজি হচ্ছে না।
×