ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

থাইল্যান্ডে রফতানি বৃদ্ধি করতে এফটিএ সই করা হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

থাইল্যান্ডে রফতানি বৃদ্ধি করতে এফটিএ সই করা হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে থাই ভিসা সহজ করার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ বলেছেন, থাইল্যান্ডে রফতানি বৃদ্ধি করতে এফটিএ সই করা হচ্ছে। উভয় দেশ এ বিষয়ে কাজ করছে। প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ড এফটিএ সই করবে বলে জানান তিনি। সোমবার ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘থাইল্যান্ড সপ্তাহ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে থাইল্যান্ড বাংলাদেশকে ৬৯৯৮টি পণ্য রফতানিতে ডিউটি ফ্রি সুবিধা প্রদান করছে। উভয় দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইতোমধ্যে পাটজাত পণ্য এবং তৈরি পোশাক রফতানিতে ডিউটি ফ্রি অথবা ন্যূনতম ডিউিটি সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ। থাইল্যান্ড বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে। এর ফলে উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যবধান অনেক কমে আসবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতি বছর পর্যটন, চিকিৎসা সেবা গ্রহণ এবং ব্যবসার উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ড সফর করেন। এ ক্ষেত্রে ভিসা পদ্ধতি সহজ করতে থাই কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি করা হলে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। অনুষ্ঠানে থাই রাষ্ট্রদূত পান পিমোন সোয়ান্নাপং বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুই দেশের বাণিজ্য শীঘ্রই দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করি। তিনি বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জন করায় শুভেচ্ছা জানান। ঢাকায় থাইল্যান্ডের বাণিজ্যিক কনস্যুলার সিবস্যাক ডেনবুনরিয়াং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মেলায় থাইল্যান্ডের ৪৫টি কোম্পানি এবং বাংলাদেশের ২৮টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলায় স্টলের সংখ্যা ৭৯টি। যন্ত্রাংশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পণ্য, হার্ডওয়্যার, ফলমূল, খাদ্যপণ্য, গৃহস্থালি পণ্য, গিফ্ট এ্যান্ড ডেকোরেটিভ পণ্য, স্টেশনারি, শিশুদের ব্যবহার্য পণ্য, তৈরি পোশাক, জুয়েলারি এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধির বিভিন্ন পণ্যসহ প্রায় ১৮ ক্যাটাগরির পণ্য বিক্রয় ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে মেলায়। মেলা ঘুরে দেখা যায়, মধ্যপ্রাচ্য থেকে আনা খেজুর দিয়ে তৈরি পানীয়, থাইল্যান্ডের বিখ্যাত প্যাড থাই (স্টিয়ার ফ্রায়েড নুডলস), টম ইয়াম গুং (চিংড়ির মসলাদার স্যুপ), আম থেকে শুরু করে বিভিন্ন থাই ফল রয়েছে। মেলায় ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি, রাম বোস্টর ফল কেজি ৫৫০, থাই পেয়ারা কেজি ৪৫০, থাই আম ৫০০, ম্যাঙ্গো চেরি ৬৫০, মিষ্টি তেঁতুল ৬০০, ডুরিয়ান ফল ৬৫০, রকমিলন ফল ৬৫০, ম্যাঙ্গো স্টিন ৬৫০ ও লঙ্গান ফলের কেজি ৫০০ টাকা। থাইল্যান্ড উইক-২০১৮ আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এবং প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে।
×