ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যাচেষ্টা ॥ তিন সন্ত্রাসীকে গণধোলাই

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২০ এপ্রিল ২০১৮

আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যাচেষ্টা ॥ তিন সন্ত্রাসীকে গণধোলাই

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৯ এপ্রিল ॥ রাণীনগরে ক্ষমতাসীন দলের এক নেতাকে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক হত্যার চেষ্টায় ছুরিকাঘাত করে এলোপাতাড়ি লাঠিপেটা করেছে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সংঘবদ্ধ ৭-৮ সন্ত্রাসীর মধ্যে ৫ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ঘটনার মূলহোতা নব্য আওয়ামী লীগারসহ তিন জনকে গ্রামবাসী আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে রাণীনগর থানা পুলিশ জনরোষের কবল থেকে গণপিটুনিতে গুরুতর আহত অবস্থায় তিন সন্ত্রাসীকে উদ্ধার করে প্রথমে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। পরে মূলহোতা শহিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপর দুই সন্ত্রাসীকে পুলিশ পাহাড়ায় চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলা দায়েরের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ছুরিকাহত ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা চেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে প্রায় ৪-৫শ’ লোকজন থানার প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান নেয়। রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি করার আশ্বাস দিলে তারা বাড়িতে ফিরে যায়। এই ঘটনায় রাণীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার মিরাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ধনপাড়া গ্রামের আলহাজ ইব্রাহীম শাহ্র ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৯) প্রতিদিনের মতো পার্শ্ববর্তী বান্দাইখাড়া বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বুধবার রাত ৯টার দিকে নিজ বাড়ির সন্নিকটে পৌঁছা মাত্রই পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা চিহ্নিত ৭-৮ সন্ত্রাসী জিয়াকে লক্ষ্য করে প্রথমে চোখে-মুখে বালু ছিটিয়ে দিয়ে ছুরিকাঘাত করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পিছু হটার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী এক যোগে সন্ত্রাসীদের ঘিরে ধরে গণপিটুনি শুরু করে। গণপিটুনি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য এই ঘটনার মূলহোতা মিরাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কালিকাপুর গ্রামের সংখ্যালঘু হিন্দুদের মন্দির ও প্রতিমা ভাঙ্গার হোতা শহিদুল ইসলাম পুকুরের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলেও গণধোলাই থেকে শেষ পর্যন্ত রেহাই পায়নি। এদিকে জিয়াউর রহমান নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় ধনপাড়া গ্রামবাসী রাতভর অজানা আতঙ্কে কাটায়।
×