ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দ্রুততার সঙ্গে নির্মাণ কাজ চলছে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সেপ্টেম্বরে ‘শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের’ উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১৪ এপ্রিল ২০১৮

সেপ্টেম্বরে ‘শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের’ উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ‘শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’ উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইনস্টিটিউটটির কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। দ্রুততার সঙ্গে নির্মাণকাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ইনস্টিটিউটটি উদ্বোধন করবেন। যারা অগ্নিদগ্ধ হয় বা দুর্ঘটনার স্বীকার হয়, তাদের জন্যেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ৫শ’ শয্যা বিশিষ্ট এই ইনস্টিটিউট। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর চাঁনখারপুলে নবনির্মিত এই ইনস্টিটিউট পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএমএ সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম, বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডাঃ সামন্ত লাল সেন প্রমুখ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এই বার্ন ইনস্টিটিউটে তৈরি হবে চিকিৎসক ও নার্স। এখান থেকেই চিকিৎসার মাধ্যমে বিকৃত চেহারা সুন্দর চেহারায় ফিরিয়ে আনা হবে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে। এখানে আমরা ভাগ্যহত মানুষকে চিকিৎসা দিতে পারব, পুনর্বাসন করাতে পারব। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি প্রতিটি পদক্ষেপে ভুল করছে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তারা পরাজিত হচ্ছে। কোটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের স্বার্থ হাছিল করতে না পেরে বিএনপি এখন প্রলাপ বকছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত অনুপ্রবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা ছাত্রলীগের দেখা দরকার। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, মানুষের প্রতি মানবতাবোধ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিকমানের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নেন। ২০১৬ সালে দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষিত এই বার্ন ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৫শ’ শয্যার এই বার্ন ইনস্টিটিউটটি এখন বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে জানান হয়, বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার মানুষ দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করে। এর বেশির ভাগই ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে এর প্রায় অর্ধেক ঘটে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে। বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া নিম্ন-মধ্যম আয়ের একটি দেশ। এ দেশে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ বসবাস করে। এখানে প্রতি বছর প্রায় ১ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন ধরনের পোড়া রোগে ভোগে।
×