ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চরের মানুষের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে ‘চর বোর্ড’ গড়ার তাগিদ

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১৩ এপ্রিল ২০১৮

চরের মানুষের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে ‘চর বোর্ড’ গড়ার তাগিদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চরের মানুষ এখন আর আগের মতো পিছিয়ে নেই। ধীরে ধীরে তাদের দুঃখ বঞ্চনা কমে আসছে। তারাও অর্থনৈতিক, সামাজিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে চরের মানুষের উন্নয়ন আরও এগিয়ে নিতে হলে অবশ্যই একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ‘চর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা চর বোর্ড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হলে চরের মানুষের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেটে চরের মানুষের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ ও একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে বক্তারা এ কথা বলেন। ন্যাশনাল চর এ্যালায়েন্স আয়োজিত জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া এমপি বলেন, চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়, কিন্তু টাকা খরচ হয় না। এটা খুব দুঃখজনক। আমরা চাই চরের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হোক। তার জন্য বরাদ্দকৃত টাকা চরের মানুষের জন্য ব্যয় করতে হবে। পরিকল্পনার অভাবে চরের মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা ব্যয় হচ্ছে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বাজেটে বরাদ্দকৃত টাকা চরের মানুষের জন্য খরচ করা উচিত। ভবিষ্যতে যাতে বাজেটে আরও বেশি টাকা বরাদ্দ করা যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ন্যাশনাল চর এ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের সভাপতিত্বে সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাভানা আক্তার এমপি, টিপু সুলতান এমপি, প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, কেয়ার বাংলাদেশের পরিচালক আনোয়ারুল হক। এছাড়াও অক্সফাম বাংলাদেশের এসএম মঞ্জুর রশিদ, কৃষক নেতা বদরুল আলম প্রমুখ। ন্যাশনাল চর এ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ সংলাপে বলেন, সর্বশেষ অর্থবছরের বাজেটে চর ও হাওড়ের উন্নয়নে যে থোক বরাদ্দ দেয়া হয় সেখানে চরের মানুষের উন্নয়নে বরাদ্দৃকত টাকা হাওরবোর্ডও খরচ করতে পারে। কিন্তু টাকা খরচ না হওয়াটা দুঃখজনক। এ কারণেই চরবাসীর উন্নয়নে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। অবকাঠামো গড়ে তোলা হলে চরের উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
×