ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে উপযুক্ত পদক্ষেপের তাগিদ

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১২ এপ্রিল ২০১৮

পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে উপযুক্ত পদক্ষেপের তাগিদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশে^র পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিজ ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে ঝুঁকিও আছে। বৈশি^ক জলবায়ু ঝুঁকি সূচক অনুযায়ী বিশে^র শীর্ষ ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। তাই স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনরোধ এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন বক্তারা। বিশ^ব্যাংক এবং ট্রপিক্যাল এগ্রিকালচারের (সিআইএটি) যৌথ আয়োজনে বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার (সিএসএ) কান্ট্রি প্রোফাইল এ্যান্ড কিক অব বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (সিএসআইপি) উদ্বোধনকালে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা বলেন, পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে নিতে হবে উপযুক্ত পদ্ধতি এবং পদক্ষেপ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, বৈশি^ক জলবায়ুর ঝুঁকি কমাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতসহ দেশের সর্বস্তরে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন-প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে নীরব বিপ্লব হয়েছে। মৎস্য প্রাণিতে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে আমাদের উৎপাদনের ক্ষেত্রে আবহাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের সরকার সেটি বুঝে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। দেশের উন্নয়নে মন্ত্রী বিশ^ব্যাংকের পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে সর্বাত্মক সহায়তার আশ^াস দেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম ম-ল বলেন, পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে তাল মেলাতে নানামুখী উদ্ভাবনে কাজ করছেন আমাদের বিজ্ঞানীরা। বিশেষ করে বিভিন্ন জাত উদ্ভাবনে বিনা ও বিরি বিশেষ ভূমিকা রাখছে। জলবায়ুর পরিবর্তন মুখোমুখি হওয়া এবং তা মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়াই কাজ। সরকার সে পথেই এগুচ্ছে। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ধারাবাহিকতা এবং এসডিজি অর্জন সব কিছুকে বিবেচনায় রেখেই কাজ হচ্ছে বলেও জানান সচিব। বিশ^ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজাস্রী পার্লকার বলেন, ক্লাইমেন স্মার্ট এগ্রিকালচার একটি ভাল সুযোগ বাংলাদেশের জন্য। এটি খুবই উপযোগী একটি পরিকল্পনা। বিষয়টি নিয়ে বেশ আশাবাদী বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদের উন্নতি নিয়েও প্রশংসা করেন তিনি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম ম-লের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এডিশনাল সেক্রেটারি মাহমুদা বেগম, বিশ^ব্যাংকের এগ্রিকালচার গ্লোবাল প্রেকট্রিস ডিরেক্টর মার্টিন ভেন নিউকুপ। এর আগে অনুষ্ঠানে সিএসএ কান্ট্রি প্রোফাইল ইন বাংলাদেশ রেজাল্ট এ্যান্ড এনালাইসিস বিষয়ে উপস্থাপন করেন সিএসআইপি’র প্রতিনিধি গডিফরি গ্রোজিন। এছাড়াও ক্লাইমেট স্মার্ট ইনভেস্টমেন প্লান নিয়ে উপস্থাপন করেন বিশ^ব্যাংকের প্রতিনিধি তবিয়াশ ব্রেডেকার। জলবায়ু উপযোগী কৃষি সিএসএ-এর উদ্দেশ্য নিয়ে বলা হয় বিশ^ব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশের পরিবর্তিত জলবায়ু এবং বর্ধিত খাদ্য চাহিদা সত্ত্বেও খাদ্য নিরাপত্তা এবং ব্যাপক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা। সরকারের সহযোগিতায় শস্য, প্রাণিসম্পদ, মৎস্য একুয়া কালচার ও বনায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব প্রকল্প গ্রহণ এবং তার বাস্তবায়ন। তন্মধ্যে মৎস্য অধিদফতরের আওতায় ‘কোস্টাল ফিশারিজ’ ভিত্তিক একটি প্রকল্পে ২৪০ মিলিয়ন ইউএস ডলার এবং প্রাণিসম্পদ খাতে ডিআরএমপি প্রকল্পের আওতায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক।
×