ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

নদী শুকিয়ে খাঁ খাঁ করছে যতদূর চোখ যায় শুধু ধু-ধু বালুচর পানির অভাবে সেচ কাজ ব্যাহত, সর্বস্বান্ত কৃষক দিল্লীর কাছে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস চায় বাংলাদেশ

তিস্তা এখন মরা গাঙ ॥ গজলডোবা ব্যারাজে পানি আটকা

প্রকাশিত: ০৫:০১, ৫ এপ্রিল ২০১৮

তিস্তা এখন মরা গাঙ ॥  গজলডোবা ব্যারাজে পানি আটকা

ওয়াজেদ হীরা, তিস্তা পাড় থেকে ফিরে ॥ ‘তিস্তার পানির কথা আর না কন বাহে। ক’মাস আগে সব গ্যাছে। এখন হামার তিস্তা শুকি খাঁ খাঁ হইছে।’ তিস্তা একটি নদীর নাম যা এখন কার্যত সরু খাল। আর সেই তিস্তার সরু খালের দিকে চেয়ে কথাগুলো বলছিলেন তিস্তা পাড়ের বাসিন্দা সবুর আলী (৫৫)। কয়েক মাস আগেও যে তিস্তার উপচে পড়া পানি ভাসিয়েছে গোটা উত্তরাঞ্চল অথচ কয়েক মাসের ব্যবধানে সেই তিস্তায় এখন ধু-ধু বালুচর। ফসলের জমিতে প্রয়োজনীয় সেচে পানিও মিলছে না অনেক জায়গায়। ফসলভরা মাঠ পানির অভাবে ক্রমেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দেখে হাহুতাশ করছেন কৃষকরা। পানি শূন্য তিস্তায় হেঁটেই পার হওয়া যায়। নদীটি দিয়ে এখন গাড়িও চলে। প্রমত্তা তিস্তার ভরা যৌবন আর এখন নেই। বর্ষায় ফুলে-ফেঁপে ওঠা সর্বনাশা তিস্তা এখন সরু খাল। যার কোথাও হাঁটু পানি কোথাও বা কোমর পানি। তিস্তা ব্যারাজের ভাটিতে নদীর দেড় শ কিলোমিটার এলাকা মরা গাঙে পরিণত হয়েছে। যৌবনহারা তিস্তার বুকে জেগে উঠেছে বড় বড় চর। যতদূর চোখ যায়, শুধু ধু-ধু বালুচর। তিস্তার বুক চিরে এখন নৌকার পরিবর্তে নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। চরে আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ফসল। আর পর্যাপ্ত পানি আবাদি ফসলে দিতেও সমস্যা হচ্ছে কৃষকদের। কেউ কেউ বিকল্প হিসেবে গভীর নলকূপ ব্যবহার করছেন। অনেকেই আবার খরচের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। এই অবস্থায় তিস্তার চরে কোথা কোথাও ফসলের মাঠ থাকলেও সেই ফসল ঘরে তুলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে কৃষকরা। দেশের বৃহত্তম তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের ব্যারাজটি দাঁড়িয়ে আছে বালু চরে। গত বছরের জুলাই মাসে টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে তিস্তা নদী। ওই সময় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প ‘তিস্তা ব্যারাজ’ রক্ষায় খুলে দেয়া হয় ৫২ গেট। এতে শুধু ব্যারাজের উজানের বাসিন্দারাই নন ভাটিতে থাকাও লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। নদী ভাঙনে বসত-ভিটাসহ সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে ওই অঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার। অথচ কয়েক মাসের ব্যবধানে তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের আওতায় থাকা উত্তরাঞ্চলের লাখ লাখ কৃষক তাদের বোরো চাষ নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় একদিকে যেমন বর্ষা মৌসুমে ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে তেমনি শুষ্ক মৌসুমেও তিস্তা ব্যারাজের ভাটিতে ভারত তাদের গোজল ডোবা নামে বাঁধের সাহায্যে একতরফাভাবে পানি আটকিয়ে বাংলাদেশের উত্তর জনপদের লাখ লাখ কৃষকের বোরা চাষাবাদ ব্যাহত করছে। ফলে দিনে দিনে প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে দেশের বৃহত্তম তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পটি। এই অবস্থায় পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করে তিস্তা নদী বাঁচানোর আকুতি জানিয়েছে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজাপুরসহ সেচ নির্ভর মানুষজন। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে যে হারে পানি প্রবাহ কমে আসছে তাতে করে শীঘ্রই কাক্সিক্ষত পানি চুক্তি সম্পন্ন না হলে, মরা খালে পরিণত হতে পারে বহুল আলোচিত তিস্তা নদী। আর সেইসঙ্গে তিস্তা নদীর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা উত্তর জনপদের জীববৈচিত্র্য মারত্মক হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র মতে, ২০১৪ সালে রংপুর দিনাজপুরে ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ওই বছর পানির অভাবে ১৮ হাজার হেক্টর জামিতে সেচ দেয়া হয়। আর ২০১৫ ও ১৬ সালে তা আরও কমিয়ে মাত্র ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া হয়। এবছরও পানি সঙ্কট দেখা দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। হাতীবান্ধা উপজেলার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তায় পানি না থাকায় ভুট্টা ও বোরো ক্ষেতে সেচ দিতে পারছেন না অসংখ্য কৃষক। অনেকেই ক্ষেত বাঁচাতে বিকল্প সেচের ব্যবস্থাও করছেন। তিস্তা সেচ প্রকল্পের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাফিউল বারী বলেন, তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের আওতায় গত ১৫ জানুয়ারি থেকে সেচ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পানি স্বল্পতার কারণে সেচ সুবিধার লক্ষ্যমাত্র হিসেবে এ বছর ৮ হাজার হেক্টর জমি ধরা হয়েছে। তিস্তায় পানি প্রবাহ বাড়লে সেচ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঐ অঞ্চলে সেচের আওতা বাড়বে বলে ডালিয়া পয়েন্টের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এদিকে সরেজমিন জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের কয়েক জেলার পুনর্ভবা, আত্রাই, তিস্তা, ঘাঘট, ধরলা, করতোয়া, দুধকুমার, স্বতী ঘাঘট, নীলকুমার, বাঙালী, বরাই, মানাস, কুমলাই, ধুম, বুড়িঘোড়া, সোনাভরা, হলহলিয়া, লহিতা, ঘরঘরিয়া, নলেয়া, জিঞ্জিরাম, ফুলকুমার, কাঁটাখালি, সারমারা, রায়ঢাক, যমুনেশ্বরী, চিতনী, মরা করতোয়া, ইছামতি, আলাই, কুমারীসহ শতাধিক নদ-নদী আজ মৃতপ্রায়। মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এসব নদ-নদী। শুকনা মৌসুমে নদ-নদীগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় চারদিকে ধু-ধু বালুচরে পরিণত হয়েছে হাজার হাজার হেক্টর জমি। ফলে কমে গেছে আবাদি জমির পরিমাণ। উত্তরাঞ্চলের বয়স্ক ব্যক্তিদের মাধ্যমে জানা গেছে, এক সময় এসব নদীতে নৌ চলাচল স্বাভাবিক ছিল। মাঝি-মাল্লাদের কণ্ঠে ভেসে উঠত ভাওয়াইয়া, পল্লীগীতি ও ভাটিয়ালি গানের সুর। তবে সেই চিত্র আর এখন নেই। নদীর ওপর নির্ভরশীল স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করা মৎস্যজীবীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে এখন অন্যান্য আয়ের ওপর নির্ভর হতে হচ্ছে। তিস্তার এই মরণদশার কারণ সম্পর্কে পানিবিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিস্তা ব্যারাজের উজানে ভারত তাদের গজলডোবা এলাকায় বাঁধ দিয়ে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ায় তিস্তায় পানিপ্রবাহ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এছাড়া নিয়মিত ড্রেজিং না করার কারণে তিস্তায় পানি ধরে রাখা যাচ্ছে না। ফলে শুষ্ক মৌসুমের অনেক আগেই তিস্তা পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। পানিবিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবিলম্বে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন করা না হলে তিস্তা পুরোপুরি মরে যাবে। হারিয়ে যাবে জীববৈচিত্র্য। ভয়াবহ মরু প্রক্রিয়ার কবলে পড়বে রংপুর অঞ্চল। নদী গবেষক ও রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ভারত পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার গজল ডোবায় ব্যারাজ তৈরি করে সংযোগ খালের মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানি মহানন্দা নদীতে নিয়ে যাচ্ছে। এই সংযোগ খাল থেকে তারা জলপাইগুড়ি জেলা, দার্জিলিং, পশ্চিম দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর মালদহ ও কোচবিহার জেলায় সেচ সুবিধা নিচ্ছে। এ অবস্থায় ১৯৭৭ সালে তিস্তা নদীর ওপর ব্যারাজ, হেড রেগুলেটর ও ক্লোজার ড্যাম তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকার। এ বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নজরে গেলে জলপাইগুড়ি জেলার গজলডোবা নামক স্থানে (বাংলাদেশ থেকে ৬৩ কিমি উজানে) ৯২১ দশমিক ৫৩ মিটার দীর্ঘ ব্যারেজ নির্মাণ করে। এই ব্যারেজটির মাধ্যমে ভারত তিস্তার মোট পানি প্রবাহের ৮০ শতাংশ পানি তিস্তা-মহানন্দা ক্যানেলের মাধ্যমে জলপাইগুড়ি জেলা, দার্জিলিং, পশ্চিম দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর মালদহ ও কোচবিহার জেলার নদী তীরবর্তী কৃষি জমিতে সেচ প্রদান করছে। উদ্বৃত্ত ২০ শতাংশ পানি ভারত ভাটিতে ছাড়লেও ৬৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এই স্রোতধারা বাংলাদেশের দোয়ানীতে ব্যারেজ এলাকায় একেবারেই ক্ষীণ হয়ে যায়। এ অবস্থা অব্যাহত থাকায় প্রমত্তা তিস্তা এখন সরু খালে পরিণত হয়েছে। ৮৫০ মিটার প্রশস্ত তিস্তায় এখন ৪০ মিটার সরু খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যা কোথাও হাঁটুসমান আবার কোথাও কোমরপানি। গঙ্গাচড়ার মহিপুর গ্রামের বাসিন্দা সোলেমান। মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে এখন বেকার তিনি। তার মতো করিম, আজিমউদ্দিন, রবিন সবাই মাছ ধরে। নদীতে পানি না থাকায় মাছ মিলছে না। তাই তারা এখন কয়েক মাস ধরে পেশা বদল করে জীবিকা চালাচ্ছে। কাজের সন্ধানে ছুটছে দক্ষিণাঞ্চলে ও ঢাকা শহরে। আর যারা কৃষক পরিবার তারা চরে চাষাবাদ করে তারা ফসল ফলাচ্ছে। গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর, সদর থেকে পীরগাছা উপজেলার প্রায় ৮০ কিলোমিটার বিস্তৃত ছিল মানাস নদ। বর্তমানে এর কোন অস্তিত্ব নেই। একই অবস্থা ঘাঘট নদের। ঘাঘট নদকে কেন্দ্র করে এক সময়ের গড়ে ওঠা বন্দর বিলীন হয়ে গেছে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ধরে রাখতে চার হাজার কিউসেক পানির প্রয়োজন। গত বছর জানুয়ারি মাসে তিস্তায় পানিপ্রবাহ ছিল ১ হাজার ৫০০ কিউসেক। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৯০০ কিউসেকে। রংপুর থেকে লালমনিরহাট যেতে যে তিস্তা সেতু তার ওপর দাঁড়িয়ে নদীর চিত্র দেখলে শুধু বালু চর মনে হবে। তবে তিস্তার অন্যান্য চরে ফসলের কারণে কোথাও সবুজ মাঠের মতো। কেননা বিস্তীর্ণ চরে এখন ভুট্টা, আলু, মিষ্টিকুমড়া, মরিচ, বেগুন, তামাক, বোরোধানসহ নানা ধরনের ফসলের আবাদ করছেন কৃষকরা। ভুট্টা ক্ষেত বা বোরো ধানের দিকে তাকালে সবুজে মন ভরে যাবে। কোথাও আবার পর্যাপ্ত পানি না থাকায় ক্ষেত নষ্ট হওয়ার দৃশ্যও দেখা গেছে। গঙ্গাচরার তোমেজ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘তিস্তায় মাছ মারি সংসার চালাইছি। এখন নদীত পানি নাই তা মাছও নাই। ওই পেশা ছাড়ি দিচি।’ পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়ার পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, উজান থেকে যে পরিমাণ পানি আসে তা তিস্তা ব্যারাজের মাধ্যমে সেচের জন্য বিভিন্ন ক্যানেলে সংরক্ষণ করা হয়। এতে তিস্তা নদীতে পানিপ্রবাহ রেকর্ড পরিমাণ কমে গেছে। ব্যারাজের ভাটিতে পানির প্রবাহ একেবারেই কমে যাওয়ায় নদীর দেড় শ কিলোমিটার এলাকা এখন মরা গাঙে পরিণত হয়েছে। এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর চূড়ান্ত করতে দেশটির নতুন পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখলে দুদিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন ৮ এপ্রিল। তার এই সফরে তিস্তা চুক্তিসহ ইস্যুটিও প্রাধান্য পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের কথা রয়েছে। আর নরেন্দ্র মোদির ঐ সফরে তিস্তা চুক্তির হতে পারে। তিস্তা চুক্তি নিয়ে প্রতিনিয়তই স্বপ্ন দেখছে উত্তরের জনপদ। বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি মোঃ মনির হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, তিস্তাকে বাঁচানোর জন্য যে পানি কূূটনীতি তা শক্তিশালীর কোন বিকল্প নাই। এই ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের দিয়ে ভারতের সঙ্গে দর কষাকষি করতে হবে। আর নদীর পানিকে তিন ভাগ করতে হবে ভারতের এক ভাগ বাংলাদেশের ভাগ এবং নদীর একটি ভাগ রাখতে হবে। নয়তো নদীর পানি না থাকলে নদী বাঁচবে না বলেও জানান তিনি। নদী গবেষকরাও জানিয়েছেন, উত্তরের জীবনরেখা তিস্তা মরতে বসেছে। অবিলম্বে ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন করা না হলে নদীটি হারিয়ে যাবে।
×