ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাছ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২৭ মার্চ ২০১৮

মাছ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আমদানি করা মাছে অতিরিক্ত রাসায়নিক উপকরণ আছে কিনা তা নির্ণয়ে হেভি মেটাল পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয় ২৯ জানুয়ারি। যা মেনে নিতে পারছেন না আমদানিকারকরা। মৎস্য বিভাগ বলছে, সরকার নির্ধারিত সব পরীক্ষা রফতানিকারক দেশে করা হলে এখানে প্রয়োজন পড়ত না। আমদানি করা মাছ নিয়ে এমন জটিলতার মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের মাছ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র আর সৌদি আরব। বছরে ৫০টির মতো দেশে ৭০ হাজার মেট্রিক টনের কাছাকাছি মাছ রফতানি করে বাংলাদেশ। যা থেকে আয় হয় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। তবে সব ঠিকঠাক চললেও চলতি মাস থেকে শিং, মাগুর জাতীয় মাছ নিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি, প্রক্রিয়াজাতকরণকালে মৎস্য দফতরের একজন পরিদর্শক হাজির থাকতে হবে। আবার নানা অজুহাতে খামারে চাষ করা মাছ নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি আরব। এখন উভয় সঙ্কট সমাধানে তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার। রফতারি মতো জটিলতা তৈরি হয়েছে আমদানিতেও। যেমন আমদানি করা মাছের সব চালানে হেভি মেটাল পরীক্ষা বাধ্যতামূলত করেছে সরকার। যা কার্যকরের পর চট্টগ্রাম ও টেকনাফ দিয়ে ২৯ জানুয়ারির পর থেকে আমদানি করা ৫টি চালানে মাত্রাতিরিক্ত হেভি মেটালের অস্তিত্ব মিলেছে।
×