ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেটে রাস্তা নির্মাণে মানুষের ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ৩ মার্চ ২০১৮

সিলেটে রাস্তা নির্মাণে মানুষের ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উন্নয়নের ভোগান্তিতে সিলেট নগরবাসী। জায়গায় জায়গায় চলছে রাস্তা প্রশস্ত করার কাজ চলছে ধীর গতিতে। প্রায় ৯ মাসেও নগরীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চৌহাট্টা-কুমারপাড়া রাস্তার ৫০ ভাগ কাজও শেষ হয়নি। অথচ এই সড়কের দৈর্ঘ্য এক কিলোমিটারের কম। রাস্তায় জমে আছে ইট-মাটির স্তূপ। উড়ছে ধুলা, বিপর্যস্ত পরিবেশ, বাড়ছে যানজট, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। নগরীর চৌহাট্টা-কুমারপাড়া সড়ক। এক কিলোমিটারেরও কম দীর্ঘ এই সড়কের পাশে রয়েছে একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, দুটি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস। পাশে মানুষের বাসাও। ওসমানী মেডিক্যালে যাওয়ার প্রধান সড়কও এটি। কারাগার থেকে বের হয়ে মেয়র আরিফ এই সড়ক প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেন। বাসা-বাড়ি, দোকান-পাট ভেঙ্গে কাজও শুরু হয়। কিন্তু এই কাজ চলছে তো চলছেই। ফলে দিনে দিনে বাড়ছে দুর্ভোগ। বাতাসে উড়ছে ধুলা। পথচারীরা মুখে টিস্যু, মাস্ক, কাপড় বেঁধে চলাচল করছে। পথচারীরা বলেন, ‘প্রতিদিন মাক্স নিয়ে চলতে হয়। মাস্ক ছাড়া চলা অসম্ভব। রাস্তার দুই ধার ভাঙ্গা থাকার কারণে পথচারীদের খুব সমস্যা হচ্ছে। ছোট একটি কাজ যদি একবছর নিয়ে করা হয় তাহলে তো জনগণের ভোগান্তির কোন শেষ নেই।’ সময় যতই বাড়ছে ততই বাড়ছে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ। দোকান ভাঙ্গার সময় দীর্ঘদিন ব্যবসা বন্ধ ছিল, আর এখন দোকানের সামনে জমে থাকা মাটির স্তূপে আসছে না ক্রেতা। নির্মাণাধীন এই সড়কে যানজট নিয়ম হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশন পানি দেয় না। বরং তাদের বললে উল্টাপাল্টা বকে। ঠিক আছে আমরা দেখব, এতটুকু বলেই শেষ।’ ট্রাফিক পুলিশ বলেন, ‘মাটিগুলো যদি রাস্তার ওপর না রেখে, ফুটপাতের ওপর রাখা হলো তাহলে আমরা ঠিক মতো যানজট নিরসন করতে পারতাম।’ মেয়রের দাবি, নানা স্থাপনা, বিদ্যুতের খুঁটি ও গ্যাসের লাইন সরিয়ে ড্রেন নির্মাণে সময় লেগেছে। সামনে সময় কম লাগবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। সিসিক’র মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে আমরা আমরা সব কাজ করছি। আগামী পনেরো বিশ দিনের মধ্যে শেষ করতে পারব।’ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ বাতাসে ধুলা উড়লেও প্রতিদিন ছিটানো হয় না পানি।
×