ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভাল স্ক্রিপ্ট-চরিত্র পেলে চলচ্চিত্রে কাজ করব : মেহজাবিন চৌধুরী

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ১ মার্চ ২০১৮

ভাল স্ক্রিপ্ট-চরিত্র পেলে চলচ্চিত্রে কাজ করব : মেহজাবিন চৌধুরী

আনন্দকণ্ঠ : কেমন আছেন? দিনকাল কেমন যাচ্ছে? মেহজাবিন চৌধুরী : খুব ভাল আছি। আলহামদুলিল্লাহ। অনেক ব্যস্ততার মধ্যে আছি। কাজের মধ্যেই পুরো সময়টা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে বেশ ভালই দিন কাটাচ্ছি। আনন্দকণ্ঠ : ভালবাসা দিবস ও ২১ ফ্রেব্রুয়ারিতে আপনার বেশ কিছু নাটক প্রচার হয়েছে। নাটকগুলো থেকে কেমন সাড়া পেলেন? মেহজাবিন চৌধুরী : অনেক ভাল সাড়া পেয়েছি। শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘তুমি যদি বল’ এবং প্রবীর রায় চৌধুরীর পরিচালনায় ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ নামের দুটি নাটকে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছি। দর্শকদের ভাল লেগেছে বলে জেনেছি। এছাড়াও বি ইউ শুভ পরিচালিত ‘টুকরো প্রেমের টান’ ও মাবরুর রশীদ বান্নাহ পরিচালিত ‘বেকার’ নাটক দুটিও খুব আলোচিত হয়েছে। খুব ভাল লাগছে। নাটকগুলো প্রচারের পর খুব ভাল সাড়া পেয়েছি। আনন্দকণ্ঠ : অভিনয়ের বাইরে কীভাবে সময় কাটে? মেহজাবিন চৌধুরী : অভিনয়ের বাইরে তো সময়ই পাই না। অল্প সময় পেলে চিত্রনাট্য পড়ি, কেনাকাটা করতে যাই। আর বেশি পেলে বন্ধুদের সঙ্গে একটু ঘুরতে বের হই। রেস্তরাঁয় খেতে যাই। এই তো। আনন্দকণ্ঠ : শুনলাম, ‘বড় ছেলে’ নাটকের পর অপূর্বর সঙ্গে একাধিক নাটকে জুটি হয়েছেন? মেহজাবিন চৌধুরী : নির্মাতারা চেয়েছেন বলেই ভালবাসা দিবেসের বেশিরভাগ নাটকে অপূর্বর সঙ্গে জুটি হয়েছি। এর মানে এই নয় যে, আমি অপূর্ব ছাড়া আর কারও সঙ্গে জুটি হবো না। এক কথায় নির্মাতাদের জন্যই দর্শক আমাদের একসঙ্গে দেখতে পাচ্ছেন। আবার এটাও সত্যি, অপূর্বর সঙ্গে আমার কাজের বোঝাপড়াটা বেশ ভাল। গত বছরের ‘বড় ছেলে’ নাটকই তার বড় প্রমাণ। দর্শকদের অনেক সাড়াও পেয়েছিলাম ওই নাটকে। নাটকের সুবাদে দর্শকদের কাছ থেকে বেশি বেশি ভালবাসা পাচ্ছি, যা নতুন বছরে আমাকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করেছে। আর একটা জুটি তখনই সফলতা পায় যখন দর্শক তাদের পছন্দ করেন। আনন্দকণ্ঠ : ধারাবাহিকের চেয়ে একক নাটকে বেশি কাজ করছেন। কারণ কী? মেহজাবিন চৌধুরী : আসলে ধারাবাহিক নাটকগুলোর প্রতি আমার আগ্রহ কম। আমার অভিনয় ক্যারিয়ারে খুব কম ধারাবাহিকে কাজ করেছি। এখন তো বলতে গেলে করছিই না। ধারাবাহিক নাটকে সময় মিলানো নিয়ে আমার সমস্যা হয়। কারণ নাটকে অভিনয় করার পাশাপাশি আমি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিং ও বিভিন্ন টেলিভিশনে নাচের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে থাকি। মূলত সবকিছু মিলিয়ে সময় হয়ে ওঠে না। তাই খণ্ড নাটকে কাজ করেই আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আনন্দকণ্ঠ : চলচ্চিত্রে অভিনয়ে আসার কোন সুখবর? মেহজাবিন চৌধুরী : মনের মতো স্ক্রিপ্ট, চরিত্র পেলে পছন্দ হলেই চলচ্চিত্রে কাজ করব। তবে পছন্দ না হলে মানহীন কাজ করে নিজের ইমেজ নষ্ট করার পক্ষপাতিত্ব নই আমি। যদি অভিনয় করি তাহলে ভাল কোন চলচ্চিত্রেই করব। এমনটি না হলে ছোটপর্দাতেই মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে চাই। তবে সিনেমার শুরুটা এমন হওয়া চাই আমার অভিনয় দেখে মানুষ যেন বহুকাল আমাকে মনে রাখে, যাতে আমি দর্শকের মন ছুঁয়ে যেতে পারি। ছবি : আরিফ আহমেদ
×