ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রিজার্ভ বাড়াচ্ছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণায় সর্বোচ্চ দরপতন

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

রিজার্ভ বাড়াচ্ছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণায় সর্বোচ্চ দরপতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ২০১৭ সালে মুনাফা বাড়লেও লভ্যাংশ ঘোষণার পরিমাণ অপরিবর্তিত রয়েছে। ওই বছরের জন্য ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ মুনাফার ২৪ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে বাকি ৭৬ শতাংশ কোম্পানির রিজার্ভে যোগ হবে। এদিকে লভ্যাংশ ঘোষণার পর রবিবারে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ১০.৫০ শতাংশ। অর্থাৎ এই দিনে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ১৪.৯০ টাকা। দিনশেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের সমন্বয় মূল্য ছিল ১২৬.৬০ টাকা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের গত ২০১৬ সালে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছিল ৮.৮১ টাকা। এর বিপরীতে ব্যাংকটির পর্ষদ ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। তবে ২০১৭ সালে ইপিএস ৩৯ শতাংশ বেড়ে ১২.২৮ টাকা হলেও লভ্যাংশের পরিমাণ অপরিবর্তিত রয়েছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ২০১৭ সালে শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১২.২৮ টাকা। আর এই মুনাফার বিপরীতে কোম্পানিটির পর্ষদ ৩০ শতাংশ হারে প্রতিটি শেয়ারে ৩ টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যা মুনাফার ২৪ শতাংশ। বাকি ৭৬ শতাংশ কোম্পানির রিজার্ভে যোগ হবে। কোম্পানিটির ২০১৭ সালে শেয়ার প্রতি ১২.২৮ টাকা হিসেবে মোট ২৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার প্রতি ৩ টাকা নগদ হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদের ৬০ কোটি টাকার নগদ লভ্যাংশ দেয়া হবে। আর বাকি ১৮৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা রিজার্ভে যোগ হবে। ২০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে ১ হাজার ৫০৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে। তবে ২০১৭ সালে মুনাফার ২৪ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করায়, বাকি ৭৬ শতাংশ বা ১৮৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা রিজার্ভে যোগ হবে। এর আগে ২০১২ সালে মুনাফার ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের মাধ্যমে বাকি ৬৫ শতাংশই রিজার্ভে রাখা হয়েছিল। এছাড়া ২০১৩ সালে ৬০ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৬৪ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৭৪ শতাংশ ও ২০১৬ সালে মুনাফার ৬৬ শতাংশ রিজার্ভে রাখা হয়। ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে তালিকাভুক্ত এই ব্যাংকটির মোট পরিশোধিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৮৭ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৪.৮২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ১৩ শতাংশ বিদেশী ও ৮.০৫ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।
×