ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জামালপুরে এসএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার এক

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

জামালপুরে এসএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার এক

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ১৭ ফেব্রুয়ারি ॥ বকশীগঞ্জ উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে মোবাইল ফোনসহ সবুজ মিয়া (৩০) নামের স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। ওই কেন্দ্র থেকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষকের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও বিশ^ পরিচয় বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালে শনিবার সকালে বকশীগঞ্জ এনএম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা শুরুর ঠিক দুই মিনিট আগে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসান সিদ্দিক সবুজ মিয়াকে আটক করেন। আটক সবুজ মিয়া স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক। এ সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোনে জব্দ করা হয়। তার মোবাইল ফোনে বাংলাদেশ ও বিশ^ পরিচয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। একই সময় ওই কেন্দ্রে থেকে স্থানীয় নজরুল ইসলাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাহার আলী সাজুকে আটক এবং তার মোবাইল ফোনটিও জব্দ করে দেখার সময় ফোন সেট রেখেই তিনি কেন্দ্র থেকে দ্রুত কেটে পড়েন। তার মোবাইলেও একই প্রশ্ন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বকশীগঞ্জ এনএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মাসুমুল হক সিদ্দিকী বাদী হয়ে সবুজ মিয়া ও আজাহার আলী সাজুকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ দিকে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার সবুজ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে। পলাতক প্রধান শিক্ষক আজাহার আলী সাজুকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। টাঙ্গাইলে ৪ শিক্ষককে অব্যাহতি নিজস্ব সংবাদদাতা টাঙ্গাইল থেকে জানান, ভূঞাপুরে এসএসসি পরীক্ষায় কেন্দ্রে দায়িত্বরত ৪ জন শিক্ষককে দায়িত্ব অবহেলার কারণে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। শনিবার ভূঞাপুর পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় পরীক্ষায় ওই শিক্ষকদের অব্যাহতি দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফ আহম্মেদ জানান, শনিবারের বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় পরীক্ষায় ভূঞাপুর পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি হলে ৪ জন শিক্ষক দায়িত্বরত ছিল। পরে হলে ওই শিক্ষকদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে অব্যাহতি দেয়া হয়।
×