বিশেষ প্রতিনিধি ॥ খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বিএনপির উদ্দেশে বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ফেরারি তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করাকে বিএনপির অনেক নেতাই মেনে নিতে পারছেন না। আপনাদের দলের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হয়েছে। আপনাদের দলের সিনিয়র নেতারা বিকল্প চিন্তা-ভাবনা করতে বাধ্য। আপনারা দলের গঠনতন্ত্র যে দিন সংশোধন করেছেন, সেদিন থেকে আপনাদের দলে ভাঙ্গনের সুর আমরা শুনতে পাচ্ছি। বিএনপি ভাঙ্গা এখন সময়ের ব্যাপার।’
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের জš§বার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। প্রসঙ্গত, আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের ৯০তম জš§বার্ষিকী। বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার আপনাদের দল ভাঙবে না। সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের প্রচেষ্টার প্রয়োজন হবে না। আপনাদের দল ভাঙ্গার কোন উদ্দেশ্য নেই সরকারের। তবে কত দিন পর বিএনপি ভাঙবে, এটা এখন দেখার বিষয়। দেশের উৎফুল্ল জনতা এবং সাংবাদিকেরা অপেক্ষায় আছেন। আসলে এটা অবশ্যম্ভাবী। আপনাদের দলের বিবেকবান নেতারা একজন ফেরারি আসামিকে নিয়ে থাকতে পারেন না।’
তিনি বলেন, ‘যারা যারা আপনাদের (বিএনপি) দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য চেষ্টা করছেন, তাদের বলছি, ঐক্য থাকবে না। বিএনপি ভাঙ্গা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এক দুর্নীতিবাজ জেলে, আরেক দুর্নীতিবাজ ফেরারি আসামি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ায় আপনাদের দল ভাঙ্গার পেরেকটা আপনারাই পুঁতে দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে, কী পারবে না, সেটা সুপ্রীমকোর্ট, নির্বাচন কমিশন বলতে পারবেন। আইনে যা আছে তাই হবে। তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন, কী করবেন না, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রেখে সরকার নির্বাচন করতে চায় না। সরকার চায়, বিএনপিসহ দেশের সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তবে সহায়ক, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে কোন অবৈধ সরকার এ দেশে আর হবে না। এ ক্ষেত্রে বিএনপি নির্বাচনে না এলে আওয়ামী লীগের কিছু যায়-আসে না।
