ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আইটিএফসির ঋণে এলএনজি আমদানি হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আইটিএফসির ঋণে এলএনজি আমদানি হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ শেষ হওয়ার আগেই সরকার চাহিদা মেটাতে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে অর্থায়নের জন্য শেষ পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের (আইটিএফসি) দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। অর্থায়নের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংককে (এডিবি) চিঠি দিয়ে সাড়া না পাওয়া এবং পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের ব্যয়ের সঙ্গে দীর্ঘসূত্রতার বিবেচনা করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এলএনজি অর্থায়ন বিষয়ক গঠিত কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন যেভাবে ঋণ নেয়, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় ঋণ নেয়া যেতে পারে বলে মতামত দিয়েছে কমিটি। যথাসময়ে এ অর্থের সংস্থান হলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই এলএনজি আমদানি শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম। এলএনজি আলাদা কোন জ্বালানি নয়, আদতে এটি প্রাকৃতিক গ্যাসেরই তরল রূপ। প্রাকৃতিক গ্যাস সাধারণ চাপ ও তাপমাত্রায় গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে। শীতলকরণ প্রযুক্তির মাধ্যমে এ গ্যাসের তাপমাত্রা কমিয়ে ১৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নামিয়ে আনলে গ্যাস তরলে পরিণত হয়। ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) যে পাঁচটি সহযোগী সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইটিএফসি) তাদের একটি। বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম, বিশেষ করে তেল ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয় সৌদি আরবভিত্তিক লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানটি। জানা গেছে, মূল জাহাজ থেকে ভাসমান জাহাজে তেল খালাস এবং রিগ্যাসিফিকেশন করে পাইপলাইনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে এলএনজি। প্রাথমিকভাবে কাতারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রাস গ্যাস থেকে এলএনজি আমদানি করে তা এক্সিলারেট এনার্জির এফএসআরইউর (ভাসমান টার্মিনাল) মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া জিটুজি ভিত্তিতে ওমান, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার কাছ থেকেও এলএনজি আমদানির প্রক্রিয়া চলছে।
×