ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সুইস প্রেসিডেন্ট কুতুপালং শিবির পরিদর্শনে যাচ্ছেন আজ

মংডুর দংখালীতে সেনা অভিযান ॥ শতাধিক রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মংডুর দংখালীতে সেনা অভিযান ॥ শতাধিক রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ

মোয়াজ্জেমুল হক/ এইচএম এরশাদ ॥ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারও রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হয়েছে। রবিবার ভোরে শতাধিক রোহিঙ্গা টেকনাফ উপকূল দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে। এরা উখিয়ার বালুখালী টিভি টাওয়ার এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। মংডুর দংখালীতে শুক্রবার রাতে পুলিশী অভিযানের ফলে এসব রোহিঙ্গা ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় পালিয়ে এসেছে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে আজ সোমবার সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলা বেরসে’র উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। সুইস প্রেসিডেন্ট পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন। জানতে চাইবেন তাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী কি ধরনের নির্যাতন চালিয়েছে। এদিকে, ওপারের সূত্রগুলো জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ৩০টি শিবির নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি তিনটি ট্রানজিট পয়েন্টও প্রতিষ্ঠা করছে। সে দেশের তমব্রু, লেফ্ট নাগপুরাতে এই তিনটি ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করছে প্রশাসন। অপরদিকে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষও এপারের সীমান্তে পাঁচটি ট্রানজিট পয়েন্ট প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ পাঁচটি ট্রানজিট পয়েন্টের জন্য স্থানও নির্ধারণ করা হয়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে প্রত্যাবাসনবিরোধী তৎপরতা বেড়েই চলেছে। তারা সুনির্দিষ্টভাবে বলছে, এপার থেকে ওপারে গিয়ে তারা কোন অবস্থাতে শিবিরে বন্দীর মতো জীবন কাটাতে চায় না। তারচেয়ে এপারে তারা ভাল পরিবেশে রয়েছে। ফলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কতটুকু সফল হবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সরকারের পক্ষে গঠিত ওয়ার্কিং গ্রুপ কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও মিয়ানমারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার বিষয়টি অনুপস্থিত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। রবিবার ভোরে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা সৈয়দ হোছন জানিয়েছেন, মংডুর দংখালীতে ফের অভিযান শুরু করেছে সেনা সদস্যরা। কয়েক প্লাটুন দংখালী ও এর আশপাশ ঘিরে রোহিঙ্গা বসতি লক্ষ্য করে রবিবার রাতে গুলিবর্ষণ করেছে। ফলে গ্রামটির কয়েক শ’ রোহিঙ্গা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দংখালীতে পালিয়ে এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এরা সকলেই সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে পালিয়ে আসবে। এদিকে, মিয়ানমার প্রত্যাবাসনের কথা বললেও সেখানকার রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার পথ বন্ধ করছে না। অভিযোগ রয়েছে, সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সীমান্ত রক্ষীবাহিনী রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার পথ খোলা রেখেছে।
×