ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

নিষিদ্ধ পণ্য রফতানি ॥ উত্তর কোরিয়ার ২০ কোটি ডলার আয়

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নিষিদ্ধ পণ্য রফতানি ॥ উত্তর কোরিয়ার ২০ কোটি ডলার আয়

উত্তর কোরিয়ায় কয়লা, লোহা, স্টিল ও অন্যান্য নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্য রফতানি করে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেছে। দেশটি গত বছর এসব পণ্য রফতানি করে প্রায় ২০ কোটি ডলারের রাজস্ব অর্জন করেছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে শুক্রবার একথা বলা হয়েছে। খবর এএফপির উত্তর কোরিয়া সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচীর উন্নয়নের জন্য এবং মিয়ানমারকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের জন্য সামরিক বাহিনীর সহযোগিতার প্রমাণও পেয়েছে জাতিসংঘের প্যানেল বিশেষজ্ঞ। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে যেসব পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সেগুলোর প্রায় সব পণ্যের রফতানি অব্যাহত রেখেছে উত্তর কোরিয়া। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২০ কোটি ডলারের রাজস্ব আয় করেছে। পিয়ংইয়ং বিভিন্ন প্রযুক্তিগত দিক এড়িয়ে প্রতারণামূলক কৌশল গ্রহণ করে জাহাজযোগে চীন, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া ও ভিয়েতনামকে কয়লা সরবরাহ করেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্তর কোরিয়ার সামরিক কর্মসূচীর রাজস্ব ছেটে দেয়ার লক্ষ্যে রফতানি নিষেধাজ্ঞায় কড়াকড়ি ও তা সম্প্রসারণে গত বছর কয়েকটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। গত বছর পিয়ংইয়ংয়ের ষষ্ঠ পরমাণু পরীক্ষা ও কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আনীত প্রস্তাবে ওই কঠিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য বিভিন্ন বন্দরে ৭টি জাহাজকে বাধা দেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এ অবৈধ তৎপরতা অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে আরও কিছু সংখ্যক জাহাজ। উত্তর কোরিয়ার প্রধান অস্ত্র রফতানি প্রতিষ্ঠান কমিড কর্পোরেশনের সঙ্গে সিরিয়া ও মিয়ানমার সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে অব্যাহতভাবে। এ অস্ত্র প্রতিষ্ঠান জাতিসংঘের কালো তালিকাভুক্ত। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া থেকে ৪০টিরও বেশি জাহাজ বোঝাই চালান সিরিয়ার রাসায়নিক কর্মসূচী বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সায়েন্টিফিক রিসার্চ কাউন্সিলের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ তদন্তে দামেস্কের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের সামরিক সহযোগিতা বিষয়ক সুদৃঢ় নতুন প্রমাণ বেরিয়ে এসেছে এবং একথাও প্রকাশ পেয়েছে যে, উত্তর কোরিয়ার প্রকৌশলীরা ২০১৬ সালে অন্তত তিনবার সিরিয়া সফর করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতিসংঘের এক সদস্য রাষ্ট্র প্যানেলকে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার প্রকৌশলীরা সিরিয়ায় বারজেই আদ্রা ও হামা শহরে রাসায়নিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র সুযোগ-সুবিধার ওপরে কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সিরিয়া প্যানেলকে বলেছে, এর ভূখ-ে উত্তর কোরীয় কোন প্রকৌশলী নেই। সদস্য রাষ্ট্র প্যানেলকে একথাও বলেছে যে, মিয়ানমার উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দেশটি উপরন্তু বহুমুখী রকেট ও ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রসহ প্রথাগত অস্ত্রও পেয়েছে। উত্তর কোরীয় কূটনীতিবিদরা বিশেষ করে বাণিজ্য প্রতিনিধিরা অস্ত্র বিক্রির জন্য কারিগরি সহযোগিতা জুগিয়ে যাচ্ছেন।
×