ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সিংড়া সড়কে সৌরবাতি

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সিংড়া সড়কে সৌরবাতি

সন্ধ্যা হলেই নাটোরের সিংড়া পৌরসভায় স্বয়ংক্রিতভাবে জ¦লে ওঠে সৌর বিদ্যুতচালিত সড়ক বাতি। আবার সকাল হলেই স্বয়ংক্রিতভাবে নিভে যায় বাতিগুলো। সন্ধ্যা হলেই সৌর বিদ্যুতচালিত এসব সড়ক বাতির আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে পৌরসভার ভিতর-বাহির, চারিপাশ। রাতে দিনের আলোর মতো ঝলমল করতে থাকে সর্বত্র। দৃষ্টিনন্দন এসব সৌরবাতির আলো শহরের শোভা বাড়িয়ে তুলেছে অনেক গুণ। বিদ্যুত সাশ্রয়ী এই প্রকল্প ইতোমধ্যেই পৌরবাসীর প্রশংসা অর্জনেও সক্ষম হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় সৌর বিদ্যুৎচালিত সড়ক বাতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ পৌরবাসী। শুধু তাই নয়, এসব সড়ক বাতির ব্যবহার পৌরসভার পকেট থেকে বছরে প্রায় ১২ লাখ টাকার বিদ্যুত বিল বাঁচিয়ে দেবে। পাশাপাশি, পৌরসভায় চুরি, ছিনতাইসহ অন্যান্য অপকর্মকান্ড রোধেও এই সড়ক বাতি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে জানান সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস। জানা গেছে, বাংলাদেশ জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে (বিসিসিটি) জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সৌর বিদ্যুতায়িত সড়ক বাতি স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সিংড়া পৌরসভায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৬৩টি সৌর বিদ্যুতাচালিত সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়েছে। পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বাজারের মোড়ে মোড়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এসব বাতি। ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন। সে সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি উপস্থিত ছিলেন। পৌরসভা সূত্রে জানা আরও জানা যায়, সৌরচালিত সড়কবাতি প্রকল্প চালুর আগে পৌরসভার বিভিন্ন বিভিন্ন পয়েন্টে সড়ক বাতির পেছনে বছরে প্রায় ১২ লাখ টাকার বিদ্যুত বিল পরিশোধ করতে হতো। এখন সেই খরচ অনেকটাই কমে যাবে। স্থানীয়রা আরও জানায়, আগে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে সড়ক বাতি না থাকার কারণে অনেক সময় চুরি, ছিনতাই হতো। মাদকসেবীরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাদকসেবনসহ করত। সড়ক বাতির কারণে এখন অনেকেই অপরাধী এখন সাবধান হয়ে যাবে বলে জানান একাধিক পৌরবাসী। পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের পাটকোল মহল্লার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম ও হযরত আলী বলেন, বিগত দিনে সড়কগুলোতে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় চলাচল করতে অনেক অসুবিধা হতো। -কালিদাস রায়, নাটোর থেকে
×