ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে ছাত্রলীগ কমিটি

আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি  সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ২ ফেব্রুয়ারি ॥ জেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটি নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের জের ধরে এবার পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে শহরের নিউমার্কেটস্থ একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি শোয়েব হাসান শাকিলকে সভাপতি ও মতিউর রহমান মতিনকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা শাখার কমিটি অনুমোদন দেয়। ওই কমিটি অনুমোদন দেয়ার পর একটি মহল হরতাল আহ্বান করে শেরপুরকে অস্থিতিশীল করে বর্তমান সরকার, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে বিব্রত করার অপপ্রয়াস চালায়। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও অনলাইন পত্রিকায় সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতিনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে তার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করার অভিযোগ তুলে পোস্ট দেয়। পরে তারা জনগণের মনোভাব ও প্রশাসনের দৃঢ় অবস্থানের কারণে হরতাল থেকে সরে আসে। তবে তাদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি নবগঠিত জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট মজদুল হক মিনু, খন্দকার নজরুল ইসলাম, ফখরুল মজিদ খোকন ও মিনহাজ উদ্দিন মিনাল, সাংগঠনিক সম্পাদক বশিরুল ইসলাম শেলু, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আবুল কাশেম জিপি, সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি জুনায়েদ নূরানী মনি প্রমুখ। অন্যদিকে একইদিন বিকেলে শহরের খরমপুর খাদ্যগুদাম মোড় এলাকায় আয়োজিত পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন দেয়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে রাজীবসহ কয়েকজন ছাত্রদল কর্মীকে স্থান দেয়া হয়েছে। আর মতিউর রহমান মতিন নামে যাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে, সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে কুৎসা রটনা করে স্ট্যাটাস দিয়েছিল। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। দলের কর্ণধররা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ভুল বুঝিয়ে ওই কমিটির অনুমোদন নিয়েছিল। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে। অন্যদিকে উদ্ভুত অবস্থায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি নবগঠিত জেলা কমিটি স্থগিত করে তদন্ত কমিটি করে দেয়ায় ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি সরেজমিনে এসে বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে জেনেছে। অথচ ওই বিতর্কিত কমিটিকে বহাল রাখতে দলের একটি মহল উঠে-পড়ে লেগেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ আব্দুল ওয়াদুদ অদু, এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক উপসম্পাদক কৃষিবিদ আল ফারুক ডিউন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শামছুন্নাহার কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক তাপস কুমার সাহা, জেলা যুবলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সদর উপজেলা ভাইস- চেয়ারম্যান বায়েযীদ হাছান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইফতেখার হোসেন কাফী জুবেরী, জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট ফারহানা পারভীন মুন্নী, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিজু প্রমুখ।
×