স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নওগাঁর রেজাউল করিম মন্টুসহ তিন রাজাকারের বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ ৬ মার্চ দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। অন্যদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার শেখ মোঃ আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মাওলানাসহ ছয় রাজাকারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ১১ তম সাক্ষী মোঃ আব্দুল কাদির তালুকদার জবানবন্দী দিয়েছেন। জবানবন্দীতে সাক্ষী বলেন, রাজাকার মজিদ মাওলানা, আব্দুল খালেক তালুকদার, আব্দুর রহমানসহ অন্য রাজাকাররা আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করে। লাশ কংস নদীতে ফেলে দেয়। জবানবন্দী শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষীকে জেরা করেন। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য ৬ মার্চ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বিচারপতি আমির হোসেনের নেতৃত্বে দুই সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -১ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
নওগাঁর এই মামলায় দুই আসামি জেলহাজতে রয়েছে। এক আসামি পলাতক আছেন। পলাতক আসামি হলেন নজরুল ইসলাম। এ বিষয়ে প্রসিকিউটর আবুল কালাম বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের অভিযোগ রয়েছে।
নেত্রকোনার ৬ রাজাকার ॥ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার পূর্বধলার আব্দুর রহমানসহ ছয় রাজাকারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ১১তম সাক্ষী মোঃ আব্দুল কাদির তালুকদার তার জবানবন্দীতে বলেছেন, রাজাকার মজিদ মাওলানা, আব্দুল খালেক তালুকদার, আব্দুর রহমানসহ অন্যান্য রাজাকাররা আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করে এবং আমার ভাইয়ের লাশ কংস নদীতে ফেলে দেয়।
সাক্ষী বলেন, আমার বাড়ি পূর্বধলা, নেত্রকোনা। একাত্তরে আমার বয়স ছিল ২০ বছর। আমি ও আমার বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা। একাত্তরে ১৫ থেকে ২০ রাজাকার আমাদের বাড়িতে আক্রমণ করে। আমাকে বাড়িতে না পেয়ে আমার ভাইকে পিছমোড়া দিয়ে বেঁধে নিয়ে যায়। আমার আত্মীয় স্বজনরা রাজাকার ক্যাম্পে ভাইকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে রাকাজাররা আমার ভাইকে ছাড়েনি। পরে এই মামলার আসামি মজিদ মাওলানা, আব্দুল খালেক তালুকদার, আব্দুর রহমানসহ অন্য রাজাকাররা আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করে কংস নদীতে লাশ ফেলে দেয়। আমার ভাইয়ের হত্যাকা-ের পর পূর্বধলা থানায় একটি মামলা করেছিলাম।