ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রিফাত কান্তি সেন

পানি-গ্যাস অপচয় দেশের বড় বিপর্যয়

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

পানি-গ্যাস অপচয় দেশের বড় বিপর্যয়

প্রবাদে আছে অপচয়ে নাকি সাগর শুকায়। আবার অনেকে বলে অপচয়কারী নাকি শয়তানের ভাই। আমাদের দেশে অনেক কিছুই অপচয় হয়, যার মাঝে অন্যতম পানি-গ্যাস। পানির অপর নাম জীবন। না আসলে কথাটা এমন নয়, বিশুদ্ধ পানির অপর নাম ‘জীবন’। যে পানি আমাদের জীবন বাঁচায় তার অপচয় সত্যি খুবই দুঃখজনক মনে হয়। শুধু কী পানি! আমরা রীতিমতো অপচয় করছি প্রাকৃতিক সম্পদ ‘গ্যাস’। প্রতিদিনই কোন না কোনভাবে আমরা পানি-গ্যাস দুটোরই অপচয় করছি। আমাদের খামখেয়ালিপনার দরুন প্রতিদিন অপচয় হচ্ছে পানি-গ্যাস। আমাদের সকলেরই জানা আছে পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগই পানি। কিন্তু কথা হলো পানির মধ্যে আবার কয়েক রকমের পানি রয়েছে যেমন মিঠা পানি এবং লবণাক্ত পানি। আমরা জানি আমাদের মিঠা পানির বড়ই অভাব। লোনা পানির কোন অভাব নেই। কিন্তু তা পান করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। হর-হামেশা আমরা করছি পানির অপচয়। যেখানে-সেখানে মিঠা পানিকে করছি দূষিত। বিশেষ করে বাসাবাড়ি কিংবা হোটেলগুলোতে গেলে দেখা যায় মানুষ কিভাবে পানির অপচয় করছে। আমরা অনেকেই হোটেলে খাবার খাওয়ার আগে হাত ধৌত করতে গিয়ে পানির কল ছেড়ে রাখি। গোসল করার সময়ও প্রচুর পরিমাণ পানি যারা শহরে বাস করি তাঁরা অপচয় করি। বাসন-কোসন মাজা, জামা-কাপড় পরিষ্কারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানির কল ছেড়ে রেখে করছি পানির অপচয়। আমরা যদি একটু খেয়াল করি তবে দেখতে পাব দিন দিনই ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার নিচে নেমে যাচ্ছে। দেশের নদী ও জলধারের অবস্থা খুবই করুণ, বৃষ্টিপাতও হচ্ছে কম। এতকিছুর পরও আমাদের হুশ হচ্ছে না। আমরা বুঝে উঠতে পারছি না যে, কতটা ঝুঁকির দিকে প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলেছি। অপব্যয়, অপচয় যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই তো ক’দিন আগের ঘটনাÑ একজন ভদ্রলোক হোটেলে এসেছেন খাবার খেতে। এসেই তিনি হাত ধোয়ার জন্য পনেরো মিনিটের ওপর পানির কল ছেড়ে পানির অপব্যয় করেছেন। এ যেন ধরাকে সড়াজ্ঞান করলেন তিনি! আবার যদি গ্যাসের কথা বলি তবে প্রথমেই বলতে হয় এটি একটি খনিজ সম্পদ। বলতে পারেন অনবায়নযোগ্য জ¦ালানি। দেশে কয়েকটি গ্যাস ক্ষেত্র থাকলেও একটা সময় গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঠিক তখন এই খনিজ গ্যাসকে নবায়ন করা সম্ভব নয়। দিন দিনই গ্যাস ফুরিয়ে আসছে। আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ানক এক বিপদ। চাঁদপুর, ফরিদগঞ্জ থেকে
×