ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে নারী সদস্যদের মেয়াদ আরও ২০ বছর বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৮:০৫, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮

সংসদে নারী সদস্যদের মেয়াদ আরও ২০ বছর বাড়ছে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী সদস্যদের মেয়াদ আরও ২০ বছর বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। এই লক্ষ্যে সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনী আনা হচ্ছে। আজ সোমবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে নীতিগত অনুমোদনের জন্য ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইন, ২০১৮’ এর খসড়া উঠছে। সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি শেষ হবে। তা বহাল রাখতে তার আগেই সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সে কারণে আজ সোমবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে নীতিগত অনুমোদনের জন্য ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইন, ২০১৮’ এর খসড়া উঠছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সংবিধানের ৬৫ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, সংবিধান (চতুর্দশ সংশোধন) আইন, ২০০৪ প্রবর্তনকালে বিদ্যমান সংসদের অব্যবহিত পরবর্তী সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে শুরু করিয়া দশ বৎসরকাল অতিবাহিত হইবার অব্যবহিত পরবর্তীকালে সংসদ ভাঙ্গিয়া না যাওয়া পর্যন্ত পঞ্চাশটি আসন কেবল মহিলা-সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে। সংবিধান অনুযায়ী ৩৫০ জন সংসদ সদস্য নিয়ে দশম জাতীয় সংসদ গঠিত হয়। সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০০ জন এবং সংসদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে ৫০ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৪ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদে সংবিধান সংশোধন করে সংরক্ষিত নারী সদস্যের ৪৫টি আসন সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টনের ব্যবস্থা করা হয়। তখন এর মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয় পরবর্তী সংসদের অর্থাৎ, নবম সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে দশ বছর। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি। সেই হিসেবে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যের মেয়াদ আছে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী সদস্যদের সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০-এ উত্তীর্ণ করা হলেও ওই সময় আর মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। ১৯৭২ সালের সংবিধানে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে সদস্য ছিলেন ১৫ জন। এরপর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাড়িয়ে ২০টি করা হয়। এরশাদ সরকারের আমলে করা হয় ২৫টি। এরপর পর্যায়ক্রমে ৩০টি ও ৪৫টি করা হয়। সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনের পেলে তা পাস করতে বিল আকারে সংসদে পাঠানো হবে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ওই প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ের পর তা পাস করতে হবে। সংবিধান সংশোধন করতে হলে সংসদ সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট লাগবে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২৩২ আসন নিয়ে সরকার গঠন করেছে। সংবিধানের সর্বশেষ সংশোধন হয়েছিল ২০১৬ সালে। ওই সংশোধনে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। পরে সর্বোচ্চ আদালত ওই সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দেয়।
×