ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

মধ্যমাঘে এসে হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৮ জানুয়ারি ২০১৮

মধ্যমাঘে এসে হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মধ্যমাঘে এসে হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। আবহাওয়া অফিস বলছে শৈত্যপ্রবাহের কারণে তাপমাত্রা কমে শীত বাড়ছে। তারা জানায় দেশের ওপর দিয়ে মৌসুমের দ্বিতীয় দফায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিন এ অবস্থা চলতে পারে। এ সময়ের মধ্যে শীতের তীব্রতা কিছুটা বাড়তে পারে। শুক্রবার থেকেই সারাদেশের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তবে শনিবার সকাল থেকে শীতের প্রকোপ অনেক বেড়েছে। এ বছর শীত মৌসুমে প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয় গত ৩ জানুয়ারি থেকে। টানা ১২ দিনের বেশি স্থায়ী থাকার পর ধীরে ধীরে শীতের প্রকোপ কমে আসে। বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। তবে জানুয়ারি শেষ সময়ে আবার শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা আবার বেড়ে গেছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে উত্তরাঞ্চলের পাশাপাশি আগামী কয়েকদিন খোদ রাজধানীতেও শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে। শনিবার দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৮.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এদিন রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৪.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে দ্বিতীয় দফায় শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঢাকার তাপমাত্রাও ১০ ডিগ্রীর মধ্যে নেমে আসতে পারে। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তার মোঃ শাহীনুর ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও তা বৃদ্ধি পেয়ে মাঝারি আকার ধারণ করবে। তবে এই শৈত্যপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করার আশঙ্কা নেই। এর বিস্তার মূলত দেশের উত্তরাঞ্চলে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোকে বেশি সীমাবদ্ধ থাকবে। তিনি জানান, নতুন করে শুরু হওয়া এই শৈত্যপ্রবাহ আগামী দুই থেকে তিনদিন পর্যন্ত চলতে পারে। এরপরই আবার তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। তবে দ্বিতীয় দফার এই শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাওয়ার পর দেশে নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। এটাই এ বছরের শেষ শৈত্যপ্রবাহ। শৈত্যপ্রবাহ উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও খোদ রাজধানীতে এর প্রভাব পড়ছে। প্রথম দফায় শৈত্যপ্রবাহ শেষে শীতের প্রকোপ কিছুটা কমে এলেও শনিবার সকালটা শুরু হয় অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা আলাদা। ঘুম থেকে উঠেই মানুষ শীতের তীব্র আচ করতে পেরেছে। ফলে গরম কাপড় জড়িয়ে শীত নিবারণে চেষ্টা চলছে সর্বত্রই। হিমেল হাওয়া যেন চামড়া ভেদ করে দেহের ভেতরে প্রবেশ করছে। দিনভর হিমেল হাওয়া নতুন করে বুঝিয়ে দিচ্ছে ‘মাঘের জারে বাঘ কাঁদে।’ আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন শীতের বিদায় মুহূর্তে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার কারণে শীতটা বেশি লাগছে। শনিবার দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৮.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এছাড়াও দেশের অধিকাংশ স্থানে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এসেছে। আগামী কয়েকদিন এই তাপমাত্রা আরও কমে আসতে পারে। এই সময়ে শীতের অনুভূতি আর বেড়ে যাবে। আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। শ্রীমঙ্গল, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী কয়েকদিন এই অবস্থা অব্যাহত থাকবে। এই সময়ে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শনিবার ঢাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় (০৫-১০ কিমি)। শনিবার থেকে রাজধানীতে শীতের তীব্রতা বাড়লেও এদিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘তাপমাত্রা কমায় শীত ধীরে ধীরে বাড়ছে। ঢাকাসহ সারাদেশেই শীতের প্রকোপ বাড়বে। কয়েকটি স্থানে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিয়েছে, এটা আরও বিভিন্ন স্থানে ছড়াতে পারে। তবে শীত তীব্র আকার ধারণ করার কোন আশঙ্কা নেই বলে উল্লেখ করেন। বলেন, ঢাকায় হয়ত শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেবে না, তবে তাপমাত্রা কমে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছাকাছি নেমে যেতে পারে। আগামী তিন/চারদিন তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে যাবে। এরপর তাপমাত্রা আবার বাড়বে।
×