ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাত গোলের ম্যাচে লিভারপুলের অবিস্মরীয় জয়

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮

সাত গোলের ম্যাচে লিভারপুলের অবিস্মরীয় জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে মাটিতে নামতে হলো ম্যানচেস্টার সিটিকে। রবিবার রাতে নাটকীয় ম্যাচে লিভারপুলের কাছে মৌসুমের প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে তারা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচে স্বাগতিক লিভারপুলের কাছে শীর্ষে থাকা সিটির হার ৪-৩ গোলে। আরেক ম্যাচে টেবিলের নীচের দিকে থাকা বোর্নমাউথের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে বাজে সময়ের মধ্যে থাকা আর্সেনাল। এ নিয়ে লীগে টানা তৃতীয় ও সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ জয়শূন্য রইল গানার্সরা। শুধু পরাজয়ই নয় এই ম্যাচের মাধ্যমে সম্ভবত দলের তারকা খেলোয়াড় এ্যালেক্সিস সানচেজের আর্সেনাল অধ্যায়ের ইতি ঘটেছে। চিলিয়ান তারকা সানচেজকে ছাড়াই বোর্নমাউথ সফরে যায় গানার্সরা। সানচেজকে দলে নিতে ম্যানচেস্টার সিটি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দু’ক্লাবই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গত সপ্তাহে ইউনাইটেডের আগ্রহ প্রকাশের আগ পর্যন্ত চিলির এই তারকাকে দলে নিতে সিটিই ফেবারিট ছিল। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তাকে নিয়ে চূড়ান্ত কিছু জানা যাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। এই হারের পরও টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে ম্যানসিটি এখনও ১৫ পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। ২৩ ম্যাচে সিটির পয়েন্ট ৬২। আর ৪৭ পয়েন্ট ম্যানইউর। ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে আর্সেনাল। আর ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে গোলব্যবধানে তিনে লিভারপুল। শীতকালীন দলবদলে ফিলিপ কুটিনহোকে বার্সিলোনায় ছেড়ে দেবার পর থেকেই জার্গেন ক্লপের দল প্রমাণ করে চলেছে তারা এখনও আক্রমণ ভাগে একই ধরনের শক্তি বজায় রেখেছে। সিটির বিরুদ্ধেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। ম্যাচের নবম মিনিটেই রবার্টো ফারমিনহোর সহায়তায় এ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলেইন সিটি গোলরক্ষক এডারসনকে পরাস্ত করে স্বাগতিকদের এগিয়ে দিয়ে আরও একবার এ প্রমাণ রাখেন। বিরতির পাঁচ মিনিট আগে কাইল ওয়াকারের ক্রসে লিওরি সানে পোস্টের খুব কাছ থেকে সিটির পক্ষে সমতা ফেরান। বিরতির পর সিটিই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলতে থাকে। কিন্তু হঠাৎই লিভারপুলের দুই গোলে সব ওলট-পালট হয়ে যায়। ৫৯ মিনিটে ফিরমিনো দারুণ এক গোল করে আবারও স্বাগতিকদের এগিয়ে দেয়ার দুই মিনিটের মধ্যে সাদিও মানের গোলে ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। ৬৮ মিনিটে প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে মোহাম্মদ সালাহ লিভারপুলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করলে সিটিজেনদের পরাজয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু ম্যাচের নাটকীয়তা তখনও বাকি ছিল। ৮৪ মিনিটে বার্নান্ডো সিলভা ও ইনজুরি টাইমে (৯১ মিনিট) ইকে গুনডোগানের পরপর দুই গোলে সিটি ম্যাচে ফিরে আসলেও পরাজয় এড়াতে পারেনি। এই পরাজয়ের মধ্য দিয়ে গত ও চলতি মৌসুম মিলিয়ে ৩০টি লীগ ম্যাচে অপরাজিত থাকা পেপ গার্ডিওলার দলের জয়রথ থেমেছে। টানা ১৮টি ম্যাচে অপরাজিত ছিল সিটিজেনরা। যদিও ২০০৩-০৪ মৌসুমে পুরোটাই অপরাজিত থাকা আর্সেনালের দুর্দান্ত রেকর্ড এখনও বহাল আছে। ম্যাচ শেষে সিটি কোচ পেপ গার্ডিওলা বলেন, দ্বিতীয় গোলের পরে তারা (লিভারপুল) খুব কম সময়ের মধ্যে দুই গোল করে বসে। আর সেটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। গত কয়েক মাসে প্রতিটি সংবাদ সম্মেলনে সবাই বলেছেন প্রিমিয়ার লীগ শেষ হয়ে গেছে। অথচ আমি বলেছি না, এখনও এর অনেক কিছুই বাকি আছে। প্রতিটি ম্যাচেই আমাদের নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে হবে। পুরো দলের পারফর্মেন্সে দারুণ খুশি দ্য রেডস কোচ জার্গেন ক্লপ বলেন, গত ২০ বছরের ইতিহাসে এটি একটি অন্যতম ঐতিহাসিক ম্যাচ। কারণ পরিস্থিতি এমন হয়ে গিয়েছিল যে এবারের মৌসুমে সিটি যেন হারতে ভুলেই গিয়েছিল। এই ম্যাচে সবকিছুই ছিল। সত্যিকার অর্থেই আমি দারুণ খুশি।
×