ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মৌলভীবাজারের পাঁচ রাজাকারের রায় আজ

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

মৌলভীবাজারের পাঁচ রাজাকারের রায় আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৌলভীবাজারের সামছুল হোসেন তরফদারসহ পাঁচ রাজাকারের রায় আজ বুধবার ঘোষণা করা হবে। মৌলবীবাজারের পাঁচ রাজাকারের মধ্যে ইউনুছ আহমদ, ওজায়ের আহমদ চৌধুরী গ্রেফতার হয়েছেন। অন্য তিন আসামি সামছুল হোসেন তরফদার ওরফে আশরাফ, মোঃ নেছার আলী ও মোবারক মিয়া পলাতক আছেন। অন্যদিকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হবিগঞ্জের দুই রাজাকার লাখাই থানা রাজাকার কমান্ডার মোঃ লিয়াকত আলী ও আলবদর কমান্ডার আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলীর বিরুদ্ধে দশম সাক্ষী মোঃ রমিজ উদ্দিন চৌধুরী জবানবন্দী দিয়েছেন। জবানবন্দীতে সাক্ষী বলেন আসামিরা পাকিস্তানী আর্মি নিয়ে খাবাড়ীসহ অন্যান্য স্থানে ১৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য ১১ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মঙ্গলবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। এদিকে মৌলভীবাজারের পাঁচ রাজাকারের মামলাটি গত বছরের ২০ নবেম্বর ট্রাইব্যুনাল মামলাটির রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখে। আদালতে এ মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও তাপস কান্তি বল; আর ইউনুছের পক্ষে আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার ও ওজায়েরের পক্ষে আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম। প্রসিকিউটর রিজিয়া সুলতানা চমন জনকণ্ঠকে বলেন ‘গত ২০ নবেম্বর মামলাটির বিচারিক কাজ শেষ হলে তা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিল ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার সেটি রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণের জন্য কার্যতালিকায় আসে। পরে ট্রাইব্যুনাল আজ বুধবার রায় ঘোষণা করবে বলে আদেশ দেয়।’ ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর এটি হবে ৩০তম রায়। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন, অপহরণসহ ৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৮ জনকে হত্যা-গণহত্যা, ১১ জনকে অপহরণ আটক ও নির্যাতন এবং ২২টি বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ। ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন তদন্ত সংস্থা মোট ১ বছর ৩ মাস ৯ দিন তদন্ত করে ৯৮ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনসহ ২৭৯ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৮৩ পৃষ্ঠার সাক্ষীদের জবানবন্দী, ৪০ পৃষ্ঠার জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণপত্র এবং ৫৮ পৃষ্ঠার অন্যান্য ডকুমেন্টস। ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর প্রসিকিউশনের আবেদনে ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে সেদিন বিকেলে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার গয়াসপুর গ্রাম থেকে ওজায়ের (৬০) এবং শহরের চৌমোহনা থেকে ইউনুছ আহমদকে (৭০) গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিদের মধ্যে সামছুল হোসেন তরফদার একাত্তরে আল বদর বাহিনীর এবং নেছার আলী রাজাকার বাহিনীর স্থানীয় কমান্ডার ছিলেন। বাকি তিনজন রাজাকার বাহিনীর সদস্য হিসেবে বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধে লিপ্ত হন।
×