ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুন্দরবনে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু নিহত ॥ অপহৃত ছয় জেলে উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

সুন্দরবনে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু নিহত ॥ অপহৃত ছয় জেলে উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের শ্যালা নদী সংলগ্ন কাতিয়ার খালে নৌ-পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে বনদস্যু ছোট্ট বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ফরিদ হোসেন (৩৫) নিহত হয়েছে। সোমবার রাত আড়াইটার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ৬ জেলেসহ দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৬টি মোবাইল ফোন, একটি ডিঙ্গি নৌকা ও বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। পরে নৌ-পুলিশের সদস্য দস্যুদের একটি আস্তানা গুড়িয়ে দেয়। উদ্ধারকৃত জেলেরা হলেন, শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ বাধাল গ্রামের শাহ্ আবুল ফকির, উত্তর রাজাপুর গ্রামের সুমন খান, একই গ্রামের সুমন আকন, রতিয়া রাজাপুর গ্রামের ইসরাফিল পহলান, মংলা উপজেলার খাসেরডাঙ্গা গ্রামের প্রতুল হালদার এবং জয়মনি গ্রামের ছত্তার হাফিজ হাওলাদার । ধানসাগর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে সোমবার রাতে নৌ-পুলিশের পাঁচ সদস্য নিয়ে সুন্দরবনে অভিযান চালানো হয়। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে শ্যালা নদীর কাতিয়ার খালে পৌঁছলে বনের ভেতর থেকে জেলেদের চিৎকার ভেসে আসে। এ সময় সামনের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশকে লক্ষ্য করে দস্যুরা গুলি ছুঁড়তে থাকে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধা ঘণ্টা গোলাগুলির পর টিকতে না পেরে দস্যুরা বনের গহীনে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ এক দস্যুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় দস্যুদের আস্তানা থেকে জিম্মি ৬ জেলে, একটি টুটুবোর রাইফেল, একটি এয়ারগান, ৬টি মোবাইল ফোনসেট, একটি ডিঙ্গি নৌকাসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। নিহত দস্যু ফরিদের বাড়ি মংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের বৌদ্দমারী গ্রামে। পুলিশ জানান, নিহত দস্যুর লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া জেলেদেরকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত রবিবার ও সোমবার পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিপণের দাবিতে ৭ জেলেকে অপহরণ করে বনদস্যু ছোট্ট বাহিনী।
×