ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনে যাব, তবে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে ॥ খালেদা জিয়া

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৩ জানুয়ারি ২০১৮

নির্বাচনে যাব, তবে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে ॥ খালেদা জিয়া

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন কর্মসূচীতে বাধা দেয়া হলে এখন থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। এ জন্য তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে যাব। তবে বর্তমান সংসদ আমরা মানি না। এ সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচন দিতে হবে। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাব না। আর বিএনপি ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হবে না। ছাত্রদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। খালেদা জিয়া বলেন, আমরা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছি। কিন্তু সরকার আমাদের সভা সমাবেশসহ কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করতে দিচ্ছে না। এখানে ছাত্রদলের সমাবেশ করার জন্য আগেই অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তাহলে কেন সমাবেশ করতে বাধা দেয়া হলো। তাহলে- আগেই বলতেন অনুমতি দেয়া যাবে না। পুলিশ ভাইদের উদ্দেশে বলছি আপনাদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ নেই। কিন্ত আপনারা কথায় কথায় আমাদের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে যাবেন না, মামলা দেবেন না। আর যাদের জেলে পাঠিয়েছেন তাদের ছেড়ে দিন। বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। জনগণের নির্বাচিত সরকার নেই। তাই এ সরকার অবৈধ। আজ দেশে আইনের শাসন নেই, মানুষের কথা বলার অধিকার নেই, এক ব্যক্তির ইচ্ছায় দেশে সবকিছু চলছে। দেশের এ অবস্থার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবার মানুষের জানমালের অধিকার হরণ করেছে। কারণ, জনগণের ভোটে তারা কখনও ক্ষমতায় আসেনি। কিন্তু বিএনপি জনগণের ভোটে বার বার ক্ষমতায় এসেছে। আর এ জন্যই আওয়ামী লীগ জনগণকে ভয় পায়। তবে চাইলেই বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখা যাবে না। খালেদা জিয়া বলেন, দেশে এখন প্রতিটি জিনিসের দাম ৩ গুণ বেড়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার জনগণের কাছে দেয়া কোন প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, এ সরকার পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখাচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পদ্মা সেতু কি করতে পারবে? আর জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু করলেও এ সেতুতে কেউ উঠতে যাবেন না। ক্ষমতাসীনরা জনগণের টাকা লুট করে সুইস ব্যাংকে পাঠাচ্ছে। খালেদা জিয়া বলেন, এ সরকার গণতন্ত্র, বিচার বিভাগ ও মানুষের বাকস্বাধীনতা ধ্বংস করেছে। জনগণের বাঁচার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ বাঁচতে পারবে না। তাই দেশে এখন প্রয়োজন একটি নিরপেক্ষ সরকারেরর অধীনে নির্বাচন। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, যখন যে দায়িত্ব দেয়া হয় তা ঐক্যবদ্ধভাবে পালন করতে হবে। আর পুরনো স্লোগান দিয়ে আর চলবে না। জনগণের সমস্যা কেন্দ্রিক নতুন নতুন স্লোগান তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, এ সরকারের আমলে এত লোক গুম হয়েছে যে, দেশের মানুষ আতঙ্কে আছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশ আর চলবে না। তিনি বলেন, আমাদের সভা সমাবেশ করতে দেয়া হয় না। আওয়ামী লীগই সব সময় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে। পুলিশ খারাপ নয়, আওয়ামী লীগই পুলিশকে খারাপ করছে। তাদের কারণেই দেশ আগাচ্ছে না। বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, পুরো দেশ আজ কারাগার আর আমরা সে কারাগারে বন্দী। এ সরকারের কারণে প্রধান বিচারপতি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। শুধু তাই নয়, তার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্র নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। আল্লাহ আছে একদিন এর বিচার হবে। আমাদের নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। তাদের সারাদিন কোর্টেও বারান্দায় কাটাতে হয়। খালেদা জিয়া বলেন, শেখ হাসিনা জানে ক্ষমতা চলে গেলে মামলা হবে, জেলে যেতে হবে। তাই ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আওয়ামী লীগ যে অত্যাচার করেছিল এখন তার চেয়েও বেশি করছে। মানুষ ধরে নিয়ে দীর্ঘদিন বন্দী করে রাখা হয়। অবশ্য কাউকে কাউকে পরে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে এখন যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে তারাও একদিন থাকবে না। কারণ, আওয়ামী লীগে সৎ লোকের কোন স্থান নেই। তিনি বলেন, দেশের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। তাই এ দেশের মানুষ যেভাবে ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে দেশের স্বার্থে আবারও সেভাবে মাঠে নামতে হবে। জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই স্বাধীনতার ঘোষকের দল বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে যাবেন আর নির্যাতন করবেন সেই সুযোগ আর দেয়া হবে না। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে পূর্ব নির্ধারিত ছাত্রদলের সমাবেশ করতে না দেয়ায় এবং প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে রাখায় সকাল ১০টার পর থেকেই সেখানে বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে সেখানে অবস্থান নিয়ে সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এ দিকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ছাত্রদলকে সমাবেশের অনুমতি না দিলেও বিকেলে সেখানে গিয়ে অবস্থান নেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে পৌঁছার পর গাড়িতে বসে থাকেন। খালেদা জিয়ার গাড়িকে ঘিরে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ। পরে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে গেট খুলে দিলে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে খালেদা জিয়া ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করেন। এর পর ছাত্রদলের সমাবেশ শুরু হয়ে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় শেষ হয়। ছাত্রদল সভাপতি রাজিবুল আহসানের সভাপতিত্বে ছাত্র সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ। ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটওয়ারী সাংবাদিকদের জানান, সকাল ১০টায় সমাবেশ মঞ্চ প্রস্তুত করতে নেতাকর্মীরা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গেলে অডিটরিয়ামে প্রবেশ করতে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় অনুমতি না থাকায় অডিটরিয়ামে ছাত্র সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। আবদুস সাত্তার আরও জানান, যথাযথ নিয়ম মেনে তারা ছাত্র সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেও হঠাৎ করেই সমাবেশ করার অনুমতি বাতিল করা হয়। ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ফয়সাল আহমদ সজল সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ বলছে এখানে নাকি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে এ জন্য আমাদের সমাবেশ করতে বাধা দেয়া হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠান স্থলে মঞ্চ সাজসজ্জাসহ সার্বিক প্রস্তুতি নিতে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সেখানে অনুষ্ঠান বাতিলের বিষয়টি তাদের জানানো হয়। এক পর্যায়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রধান ফটকে তালা মেরে দেয় পুলিশ। এরপরও অনুষ্ঠান হওয়ার আশায় সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থল ছাড়েননি। দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে বিক্ষোভ করে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। এ দিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন এলাকায় একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। এর পর অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের বাইরে পশ্চিম পাশ থেকে পুলিশ কয়েকটি ককটেল উদ্ধার করে। পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সমাবেশস্থল থেকে দু তিনটা ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। ছাত্রদলের অনুষ্ঠান নিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে- ফখরুল ॥ ছাত্রদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান বাতিল করে তাদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ছাত্রদলের অনুষ্ঠান বাতিলের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে দেশে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো তাদের স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার কোন স্পেস নেই। তিনি কুমিল্লায় গাড়ি পোড়ানো মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের দাবি জানান। মির্জা ফখরুল বলেন, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ছাত্রদলের পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ বাতিল করে দেয়া হয়েছে। যেখানে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। বিষয়টি গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার শামিল। তিনি বলেন, সরকার নিজস্ব এজেন্ট দিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে সমাবেশ বানচাল করার ব্যবস্থা করেছে। পুলিশ দিয়ে সমাবেশ বাধা দিয়ে গণতন্ত্রের সংগ্রাম দমিয়ে রাখা যাবে না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে সরকারের ক্ষমতা থেকে সরে গিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ হারবে। তিনি বলেন, সারাদেশে এমন কোন জেলা-উপজেলা নেই যেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেয়া হচ্ছে না, গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, তারা চায় না আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করুক। কারণ জরিপে তারা দেখেছে যে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা জয় পাবে না। এ জন্য তারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। অথচ মুখে বলছে গণতন্ত্র দেশে আছে। মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না। এ জন্যই আমরা সংলাপের মাধ্যমে একটি সমাধানের কথা বলছি। আলোচনা ছাড়া কখনও সমস্যার সমাধান হয়নি। তিনি বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন দেশের ব্যাংকিংখাতে নৈরাজ্য, শিক্ষাখাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস, সড়কের বেহাল পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্যখাতে চরম দূরাবস্থা চলছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সমাবেশ আয়োজনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া হয়েছিল। পুলিশ ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষ অনুমতিও দিয়েছিল। কিন্তু সকাল ১০টার দিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা যখন মঞ্চ ঠিক করার জন্য সেখানে যায় তখন প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, সেখানে অনুষ্ঠান করতে দেয়ার ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আপত্তি জানিয়েছে। কারণ রাষ্ট্রপতির বোধ হয় সুপ্রিম কোর্টে বা হাইকোর্টে একটি অনুষ্ঠান রয়েছে। এ জন্য ছাত্রদলকে সেখানে কোন অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না। মির্জা ফখরুল বলেন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠানের অনুমোদনের জন্য প্রায় এক মাস আগে আবেদন করা হয়েছিল এবং কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছে। পুলিশও অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু আজকে এভাবে অনুষ্ঠানকে বন্ধ করা বা গড়িমসি করা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার শামিল। সোমবারও সারাদেশে পুলিশ ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানগুলোতে তা-ব চালিয়েছে। অনুমতি নিয়েও যখন নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছে, তখন পুলিশ সেখানে গিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে, মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়েছে। পুলিশের হামলায় ছাত্রদলের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ বেশ ক’জনকে গ্রেফতারও করেছে।
×