ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৩১ ডিসেম্বর প্রকল্প মেয়াদ শেষ

বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের কর্মকর্তারা চিঠি পেয়ে উদ্বিগ্ন

প্রকাশিত: ০৬:২২, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের কর্মকর্তারা চিঠি পেয়ে উদ্বিগ্ন

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্পের মেয়াদ এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠি পাওয়ার পর তাদের ভবিষ্যত নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্প পরিচালক মোঃ সামসুল আজমের (৩০ নবেম্বর) স্বাক্ষরিত এক চিঠি পেয়েছেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এ সময়ে প্রকল্পের আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চাকরির অবসান ঘটবে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যদি এ প্রকল্পে তারা নিয়োজিত থাকেন তবে তারা নিজ দায়িত্বে থাকবেন, এজন্য কোন অবস্থাতেই কর্তৃপক্ষের নিকট বেতন-ভাতাদি দাবি করতে পারবেন না। তবে শর্ত থাকে যে এই প্রকল্প দ্বারা সৃষ্ট স্থাপনা বন্যপ্রাণীর সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ ও জনবল পোষণের নিমিত্ত রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বেতন না পেলে কিভাবে তাদের সংসার খরচ, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ, বাড়ি ভাড়া ইত্যাদি খরচ যোগাবেন তা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন। অনেকের সরকারী কোন চাকরিতে ঢোকার বয়সও শেষ হয়ে গেছে। এ প্রকল্পের মেয়াদ যদি আর না বাড়ে কিংবা এটি যদি রাজস্ব খাতে না নেয়া হয় তবে তাদের পথে বসতে হবে। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রকল্প পরিচালক তপন কুমার সরকার জানান, ২০১৩ সালে প্রায় অর্ধশত জনবল নিয়ে এটি চালু হয়েছিল। তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেছিলেন। এত অল্প জনবল দিয়ে এ পার্কটি পরিচালনা কঠিন বিষয় ছিল। তারপরও তিনি তার সাধ্যের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক রেখে চালানোর চেষ্টা করে গেছেন। প্রকল্পটি রাজস্ব খাতে নেয়া প্রয়োজন। কারণ এটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এর জন্য পদ সৃষ্টি করে আরও দক্ষ জনবল নিয়োগ করলে সরকার লাভবান হবে। পার্ক প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয়ের উর্ধতন এক কর্মকর্তা জানান, প্রকল্পটি রাজস্ব খাতে নেয়ার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্র পেশ করেছি। গেল নবেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত সভা হয়েছে। পার্কে ৩৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আউটসোর্সিং কর্মীসহ প্রায় অর্ধশত জনবল রয়েছে, যা খুবই অপ্রতুল। পার্কটি সুষ্ঠুভাবে মেইন্টেনেন্স করতে প্রায় ৩০০ দক্ষ জনবল প্রয়োজন রয়েছে। তারপরও সবকিছু বিবেচনা করে মন্ত্রণালয়ে ২০০ জনবলের চাহিদা দিয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এটাকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হবে। পরে তাদের মতামত ও প্রতিবেদন নেয়ার পর তা বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যাবে।
×