ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিচিত্র তথ্য ॥ ‘দুই হাজার সন্তানের মা’ -আবু রাইয়ান

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭

বিচিত্র তথ্য ॥ ‘দুই হাজার সন্তানের মা’  -আবু রাইয়ান

প্রায় দুই বছর আগের কথা। চাকরির প্রয়োজনে গ্রীস ভ্রমণে যান লিসা ক্যাম্পবেল নামে এক নারী। গ্রীসের বন্যাকবলিত একটি এলাকার শরণার্থীদের নিয়ে তার কাজ। সেখানে পা রাখার পর থেকেই কেন জানি মানুষগুলোর প্রতি তার ভালবাসা জন্মে। এই টানেই তিনি নিজের চাকরি বাদ দিয়ে শরণার্থী শিবিরে দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন। তাদের সঙ্গে নিজের দুঃখ-কষ্টগুলো ভাগ করে নিয়েছেন। শেষমেশ যখন শরণার্থী ক্যাম্প ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসেন লিসা, তখন অনেকটা দুষ্টুমির ছলে তার স্বামী তাকে বলেন, ‘বাড়ি গিয়ে কী কাজ করবে? ক্যাম্পে তো তুমি দুই হাজারের বেশি সন্তানের মা হিসেবে ছিলে।’ বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ক্যাম্পে ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতি রোমন্থন করেছেন লিসা ক্যাম্পবেল। শুরুর দিকে বেশ আনন্দে কাটে তার। তবে মাঝেমধ্যে মানুষগুলোর কষ্টে ব্যথিত হতেন লিসা। এক সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখেন নৌকায় করে উপচেপড়া মানুষ ক্যাম্পের দিকে আসছে। মনে হয় এই বুঝি ডুবে যাবে এটি। প্রথম মাস যাওয়ার পর লিসা একজন ডোনার পেয়ে যান। এরপর তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন এবং আরো ভাল করে মন দেন শরণার্থী শিবিরে। দিন যত যায়, ততই ক্যাম্পের মানুষগুলোকে আপন মনে হয় লিসার। ‘আমার কাছে কাজটা মায়ের মতোই মনে হয়েছে। একজন মা যেভাবে তার সন্তানদের দেখভাল করে ঠিক এমনটা আমার সঙ্গেও হয়েছে।’ ক্যাম্প বন্ধ হওয়ার খবর শুনে অনেকেই আমার কাছে এসে ভিড় করেছে। তারা বলতে থাকে, ‘আপনি আমাদের মায়ের মতো। আপনি কোথাও যাবেন না। আপনাকে ছাড়া আমরা থাকতে পারব না।’ তখনই আমি ভাবলাম, ‘আমার লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। আসলে তাদের সঙ্গে কাটানোর সময়টা আমি কোনোদিন ভুলতে পারব না।’ যাবার বেলায় আরেকটা স্মৃতি আমাকে বেশ আবেগময় করে তোলে। ‘মুস্তফা নামের ছোট্ট একটি শিশু আমি চলে যাবো এই খবর শুনে আমার সাথে ক্যাম্প ছাড়ার জন্য হইচই শুরু করে দেয়। আমি তাকে বুকে জড়িয়ে বিদায় জানিয়েছি।’ আমি জানি, ডিসেম্বরের ২২ তারিখ আমার ভিসার মেয়াদ শেষ। তাই যে করে হোক আমাকে গ্রীস ছাড়তে হবে। মায়ার জালটা আর বিস্তৃত করতে পারলাম না। অসাধারণ কিছু মানুষের সঙ্গে সময় কাটল আমার। যাদের কাছ থেকে আমি গভীর ভালবাসা পেয়েছি। সম্মান পেয়েছি। আতিথেয়তারও কমতি ছিল না। অবশেষে তাদের সাথে প্রায় ১৮ মাসের মধুর সম্পর্কের ইতি টানতে হলো আমাকে। অবশ্য গ্রীস সরকার যদি ক্যাম্পটা বন্ধ না করতো, হয়তো আমিও আরও কিছুদিন থাকার চেষ্টা করতাম। ৬ বছরেই তাকে নিয়ে হইচই বয়স সবে মাত্র ছয়। এই বয়সেই গোটা দুনিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছে রুশ শিশুকন্যা অ্যানাস্তাসিয়া কেনিজেভা অ্যানা। বিশ্বের বাঘা বাঘা সংবাদমাধ্যম ফলাও করে ছাপছে তার খবর। কিন্তু কেন? এক কথায় উত্তর দিলে, নিজের ইনস্টাগ্রামে রেকর্ডসংখ্যক অনুসারী রয়েছে তার। এবং তারাই তাকে ‘বিশ্ব সুন্দরী’র খেতাব দিয়েছেন। ইংলিশ জনপ্রিয় ট্যাবলয়েড ‘মেট্রো’ জানিয়েছে, অ্যানার মা তাকে একটি ইনস্টাগ্রাম এ্যাকাউন্ট খুলে দেন। অবিশ্বাস্য ব্যাপার হলো, এ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর পরই আড়াই মিলিয়ন অনুসারী যোগ দেয় তার ইনস্টাগ্রামে। ইতোমধ্যে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ মিলিয়নেরও অধিক। বলা যায়, অ্যানাকে এ উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া কিংবা তাকে সুন্দরী হিসেবে বিশ্বের সামনে হাজির করার পেছনের কারিগর তার মা। যিনি নিয়মিত মেয়ের মডেলিং এ্যাডভেঞ্চারের ছবিগুলো ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। সামাজিক মাধ্যমে অ্যানার তুমুল জনপ্রিয়তা দেখে ইউরোপের মিডিয়া তাকে নতুন থিলান ব্লনডিউ আখ্যা দিতে শুরু করেছে। কারণ, ফরাসি মডেল থিলান ব্লনডিউয়ের মতোই অ্যানার রয়েছে আকর্ষণীয়া নীল চোখ আর বাদামি চুল। ছোটবেলায় দেখতে ঠিক এমনই ছিলেন ফরাসী মডেল থিলান ব্লনডিউ। অ্যানার জনপ্রিয়তা দেখে হুমড়ি খাচ্ছে বড়সড় প্রতিষ্ঠানও। তাদের লক্ষ্য অ্যানাকে দিয়ে পণ্যের বিজ্ঞাপন করানো। ভক্তরাও তার গুণগানে পঞ্চমুখ। এক ভক্ত বলেই দিয়েছেন, অ্যানা একদিন রাশিয়ান সুপার মডেল ইরিনা শায়েকের আসন দখলে নেবে। অনেকে আবার অ্যানার মাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তাদের বক্তব্য ‘শিশুরা সুন্দর হয়, কিন্তু এত কম বয়সে নেট দুনিয়ায় অ্যানাকে আনা ঠিক হয়নি।’ এর আগে তরুণ রাশিয়ান মডেল ক্রিস্টিনা পিমেনোভাকে নিয়েও এমন বিতর্ক উঠেছিল। মাত্র আট বছর বয়সে তাকেও বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সে সময় ফেসবুকে ২৫ লাখ ও ইনস্টাগ্রামে প্রায় পাঁচ লাখ অনুসারী ছিল তার।
×