ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নেপথ্যে স্বার্থান্বেষী মহলের উস্কানি

প্রত্যাবাসনে শর্ত জুড়ে আন্দোলনে নেমেছে রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭

প্রত্যাবাসনে শর্ত জুড়ে আন্দোলনে নেমেছে রোহিঙ্গারা

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ কক্সবাজার অঞ্চলে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের উস্কে দেয়া হচ্ছে। আন্দোলন-সংগ্রাম করার জন্য ইন্ধন যোগানো হচ্ছে। এ উস্কে দেয়া ও আন্দোলন-সংগ্রামের নেপথ্যে রয়েছে উগ্র মৌলবাদী কিছু সংগঠন ও এনজিও সংস্থা। এদের ইন্ধনে বৃহস্পতিবার সকালে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের মধুরছড়া ইরানী ব্লকে প্রথমবারের মতো মিছিল ও মানববন্ধন করেছে রোহিঙ্গাদের একটি দল। মানববন্ধনে তারা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে আটদফা দাবির কথা বলেছে। এসব দাবি মানা না হলে তারা রাখাইনে ফিরে যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা বর্বরতায় সর্বস্ব হারিয়ে বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করার পর সরকার মানবিক কারণে এদের আশ্রয় দিলেও এদেরকে নেপথ্যে ইন্ধন যুগিয়ে যাতে বাংলাদেশ থেকে ফিরে না যায় সে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে স্বার্থান্বেষী কয়েকটি গোষ্ঠী। লোক চক্ষুর আড়ালে ইন্ধনদাতারা রোহিঙ্গাদের রীতিমতো ক্ষেপিয়ে তুলছে। আশ্রয় ও ত্রাণ সহায়তা ফ্রি। ত্রাণে ভরপুর এদের অস্থায়ী বসতিগুলো। রাখাইন রাজ্যে এরা সে দেশের সরকারের দমন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে টু শব্দ করেনি। সেনাবাহিনী ও উগ্র মগ সন্ত্রাসীদের হাতে গণহত্যার শিকার হয়েছে এরা। তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। যুবতী ও নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নিজ বসতভিটা ছেড়ে বিতাড়িত হতেও বাধ্য করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে গত ২৫ আগস্ট রাতের পর থেকে বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল নামে। যা এখনও অব্যাহত। এ সংখ্যা নতুন-পুরনো মিলিয়ে ১৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর মিয়ানমার থেকে ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যদের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে। অপরদিকে, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে প্রত্যাবাসন প্রশ্নে দশ দফা এবং সর্বশেষ গত বুধবার পাঁচদফা পেশ করা হয়েছে। যাতে করে রোহিঙ্গারা তাদের নাগরিকত্বসহ সব ধরনের মানবাধিকার নিয়ে নিজ নিজ বসতিতে বসবাস করতে পারে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো মিছিল ও মানবন্ধন করে প্রত্যাবাসন প্রশ্নে আটটি শর্ত পেশ করা হলো।
×