ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আরাফাত সুজন

ভ্রমণে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

ভ্রমণে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি

সারা বছরই বেড়ানোর জন্য উপযুক্ত থাকলেও আমরা সাধারণত শীতকালেই ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি। শীতে স্কুল-কলেজগুলো বন্ধ থাকে বিধায় একটা ছুটির আমেজ থাকে। আর ভ্রমণের জন্যও শীতের আবহাওয়াও বেশ উপযোগী। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্টাডিট্যুরের জন্য এই সময়টাই বেছে নেয়। বিনোদন ও মানসিক প্রশান্তির জন্য কর্মস্থল থেকে সবাই মিলে শীতে পিকনিক করা খুব সাধারণ ব্যাপার। এটা এদেশের সংস্কৃতি। শীত আসলেই পরিবার পরিজন নিয়ে দেশে নাকি বিদেশে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় শুরু হয় নানা পরিকল্পনা। বছর ঘুরে আবার শীত এসেছে। এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেকেই অনেক রকম ভ্রমণ পরিকল্পনা করছেন। কোথায় ভ্রমণ করবেন তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভ্রমণ প্রস্তুতি। ভ্রমণের আগে ভাল প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করবে ভ্রমণ কতটা আনন্দময় হবে। ভ্রমণ পূর্ববর্তী প্রস্তুতির সঙ্গে ভ্রমণের সময় কি কি বিষয় আগে থেকে জানা দরকার তা নিয়েও ভাবতে হবে। কোথায় থাকবেন বেড়াতে গেলে কোথায় থাকবেন তার উপর আপনার ভ্রমণের আনন্দ নির্ভর করে। আপনার বাজেট, আপনার ভ্রমণসঙ্গী কতজন, কেমন পরিবেশে থাকতে চান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন এই বিষয়গুলো ভেবেই কোথায় থাকবেন তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেখানেই যান না কেন অবশ্যই ভ্রমণকালীন আবাস আগে থেকে ঠিক করে যাওয়াই শ্রেয়। যদি আগে থেকে সম্ভব না হয় তাহলে ভাল মতো খোঁজ-খবর নিয়ে যাওয়া উচিত। ছুটির দিনগুলোতে ভিড় বেশি থাকে, হোটেল-মোটেলের ভাড়া বেশি হয়, এই জিনিসটা অবশ্যই মাথায় রাখবেন। যদি সম্ভব হয় ছুটির দিনগুলো এড়িয়ে গেলে অনেক কিছুতেই খরচ কমে যাবে। খোঁজ-খবর যেহেতু ঘুরতে গেলে হাতে বেশি সময় থাকে না তাই যেখানে যাবেন ঠিক করেছেন, তার আশপাশে কি দেখার আছে, কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবেন, কবে কখন কি করবেন তা আগেই খোঁজ-খবর নিয়ে একটা তালিকা করে ফেলুন। এতে আপনার সময় বাঁচবে যেমন তেমনি ওইখানের ভ্রমণ স্থানগুলো দেখতে পারবেন ভাল করে। সেখানকার আবহাওয়া ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে খরব নিয়ে যাবেন, পাশাপাশি সেখানকার জরুরী ফোন নম্বর এবং লোকেশন সম্পর্কে তথ্য আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখুন। যেমন- নিকটস্থ থানা (পুলিশ), টুরিস্ট পুলিশের হেল্প ডেক্স নম্বর, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, আবাসিক হোটেল, ব্যাংক ইত্যাদি। যদি ওই এলাকার স্থানীয় কোন পরিচিত কেউ থাকে তাহলে উনার বা রেফারেন্সের নম্বর নেবেন। চেষ্টা করুন সেখানকার স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ফলে পরিবেশটি সম্বন্ধে অনেক কিছু জেনে নিতে পারবেন। এসব খোঁজ-খবর আগে থেকেই করে রাখলে অনেক অনাকাক্সিক্ষত সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যায়। ব্যাগ প্যাকিং সঙ্গে কি কি নেবেন তা নির্ভর করবে আপনি কোথায় বেড়াতে যাচ্ছেন, কতদিন থাকবেন তার উপর। যেমন পাহাড়ে বেড়াতে গেলে অবশ্যই ব্যাগের ওজন যত কম রাখা সম্ভব তার দিকে মন দিতে হবে। তবে যেখানেই যান না কেন ব্যাগ ভর্তি জিনিস না নিয়ে দেখেশুনে দরকারি জিনিস নেয়াই উত্তম। একটা ভারি ব্যাগপ্যাক আপনার ভ্রমণ আনন্দ মাটি করে দিতে পারে। তাই ব্যাগ গোছানোর সময় ভেবে দেখুন আপনার একান্ত কি কি জামাকাপড় লাগতে পারে? সেগুলোর বাইরে সর্বাধিক একটি কিংবা দুটি জামা বেশি নিতে পারেন। টুথপেস্ট, ব্রাশ, গামছা বা তোয়ালে, ক্যাপ, জুতো, বেল্ট ইত্যাদি ছাড়াও আনুষঙ্গিক আর কি কি প্রয়োজন হতে পারে তার একটা লিস্ট করুন। লিস্ট ধরে ঠিক চিহ্ন দিয়ে একটা একটা জিনিস ব্যাগে ঢোকান, এতে করে দরকারি কোন কিছু ভুলে ফেলে যাবেন না। তবে যাই ব্যাগে ঢোকান না কেন একটা জিনিস মনে রাখবেন, এই ব্যাগ কিন্তু আপনাকেই বহন করতে হবে। প্রয়োজনীয় জামাকাপড়, জুতা, কসমেটিকস আলাদা করে প্যাক করুন, যাতে স্থান সঙ্কুলান হয় আবার জিনিসপত্র এলোমেলো হবে না।
×