স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ও নিজস্ব সংবাদদাতা জামালপুর থেকে ॥ সাতক্ষীরা ও জামালপুরে সোমবার বিকেলে পৃথক ঘটনায় মাত্র ৬ ও ৭ মাস বয়সী দুটি নিষ্পাপ শিশু পাশবিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। শিশু দুটির ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, এই পৃথিবীর আলো-বাতাস ভাল করে দেখার আগেই নিজেদের বাবা-মায়ের হাতে তাদের বেঘোরে প্রাণ দিতে হলো!
জানা গেছে, সাতক্ষীরায় এক পাষ- পিতা তার নিজেরই সাত মাস বয়সী ছেলেকে টিউবওয়েলের সঙ্গে আছাড় মেরে হত্যা করেছে। জেলার শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের হাওয়ালভাংগী গ্রামে এ অঘটন ঘটে। নিহত শিশুর নাম জুনায়েদ। সে আটুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা কাদের আলীর ছেলে।
সাতক্ষীরার স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আটুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা কাদের আলী তার শ্বশুরবাড়ি হাওয়ালভাংগীতে বেড়াতে আসে। দুপুরের দিকে তার ছেলে তার কোলে ছিল। হঠাৎ উন্মাদের মতো আচরণ করে ওঠে কাদের আলী! সে বাড়ির থাকা টিউবওয়েলের সঙ্গে তার ছেলেকে সজোরে আছাড় মারে। দ্বিতীয়বার আবারও সজোরে আছাড় মারলে ছেলেটির নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করে। পরিবারের সদস্যরা গুরুতর আহত শিশুটিকে তাৎক্ষণিক শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার শাকির হোসেন বলেন, জরুরী বিভাগে বাচ্চাটিকে নিয়ে আসার পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে বাচ্চাটি রাস্তায় মারা যায়।
জামালপুর ॥ মেলান্দহ উপজেলার মলিকাডাঙ্গা গ্রামে মায়ের হাতে নিহত শিশুটির নাম মামুন। পুলিশ ও তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত শিশুটির বাবা মোঃ আসাদুল্লাহ একজন আনসার সদস্য।
বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ জেলার বিদ্যাগঞ্জে চাকরি করেন। পাঁচ বছর আগে মোঃ আসাদুল্লাহার সঙ্গে মিম আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন ভালমতোই তারা সংসার করছিল। সন্তান হওয়ার পর থেকে মোঃ আসাদুল্লাহ স্ত্রী মিম আক্তারের খোঁজখবর নেয়া বাদ দেয়। এ নিয়ে মিম আক্তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে এবং পারিবারিক অশান্তিতে ভুগছিল। তিনি বিকেল পাঁচটার দিকে নিজ ঘরে ছয় মাসের কোলের শিশুছেলে মামুনকে বঁটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
