ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফরিদপুরে বাবা খুন

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

ফরিদপুরে বাবা খুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ২২ নবেম্বর ॥ সালথা উপজেলায় মাদকাসক্ত ছেলের হাতে বৃদ্ধ বাবা খুন হয়েছে। মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের নকুলহাটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত বাবার নাম ওয়াহেদ মোল্লা (৭৫)। ছেলের নাম কালু মোল্লা (২৮)। বাবা ওয়াহেদকে খুন করার অভিযোগে রাতেই ছেলে কালুকে আটক করেছে পুলিশ। ওয়াহেদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, ওয়াহেদ মোল্লা ভিক্ষা করতেন। তার ছেলে কালু মাদকাসক্ত ছিলেন। কালু মাদকদ্রব্য বিক্রিও করত। মঙ্গলবার রাতে বাবা-ছেলে এক ঘরেই ছিলেন। গভীর রাতে গোঙানির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ওয়াহেদের ঘরে আসেন। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তার গলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ অবস্থায় প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেয়। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, কালুকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করে। বরিশালে কলেজছাত্র স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হামলায় সাকির গোমস্তা নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছে। নিহত সাকির গৌরনদী পৌর এলাকার পালরদী মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ও আশোকাঠী মহল্লার বাসিন্দা আইউব আলী গোমস্তার পুত্র। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, স্থানীয় বখাটে সোহেল, ইলিয়াছ, সুজন ও এমরান মীরসহ কতিপয় বখাটেরা মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে পালরদী মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপন কুমার রায়কে লাঞ্ছিত করে। কলেজ ছাত্র সাকির এর প্রতিবাদ করলে বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় আহত সাকিরকে প্রথমে বরিশাল শেবাচিম ও পরবর্তীতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে সাকির মারা যায়। বুধবার বেলা এগারোটায় নিহত সাকিরের হত্যাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কলেজ চত্বরে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। গাজীপুরে স্বামী স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর থেকে জানান, স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতের এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী ও স্ত্রীর প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের নাম বুলবুল আলম (২৫)। তিনি দিনাজপুরের পার্বতীপুর সদর এলাকার হুমায়ুন কবীরের ছেলে। আটককৃতরা হলেন নিহতের স্ত্রী পার্বতীপুর উপজেলার দেওয়ালিয়াপাড়া গ্রামের ওয়াহেদ আলীর মেয়ে জয়নব আক্তার (২৪) ও তার কথিত প্রেমিক পাবনার চাঁদমোহর থানার ধুলাউড়া গ্রামের তজু সরদারের ছেলে আসাদুল ইসলাম (২৫)। এরা সবাই গার্মেন্টসের কর্মী। নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পশ্চিম মোগড়খাল এলাকায় মোহর উদ্দিনের বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকে বুলবুল। তারা দুজনই স্থানীয় একটি পোশাক তৈরি কারখানায় কাজ করেন। কারখানায় কাজের সুবাদে জয়নব আক্তারের সঙ্গে তার সহকর্মী আসাদুল ইসলামের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক হয়। কিন্তু বাদ সাধে জয়নবের স্বামী বুলবুল আলম। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার রাতে নিজ বাসায় গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে বুলবুলকে হত্যা করে জয়নব ও তার প্রেমিক আসাদ। পরে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য লাশটি গাজীপুর রেল জংশন স্টেশন এলাকায় নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়দের প্রশ্নের জবাবে অসুস্থ্য স্বামীকে দিনাজপুর নিয়ে যাচ্ছে বলে জয়নব জানায়। বিষয়টি আশপাশের লোকজনের সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেয়। মির্জাপুরে গৃহবধূ নিজস্ব সংবাদদাতা মির্জাপুর থেকে জানান, মির্জাপুরে রোজি আক্তার (৩৩) নামে এক গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্যা গ্রামে। রোজির স্বামীর নাম মুকছেদ আলী। বুধবার সকালে মির্জাপুর থানা পুলিশ স্বামীর বাড়ি পাকুল্যা থেকে রোজির মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ রোজির স্বামী মুকছেদ আলী ও শাশুড়ি হাফিজা খাতুন কে আটক করেছে। রোজির পরিবারের লোকজন জানান, প্রায় দেড় বছর আগে এ উপজেলার বলটিয়া গ্রামের রজব আলীর মেয়ে রোজির সঙ্গে মুকছেদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য রোজির ওপর নানাভাবে নির্যাতন শুরু করে স্বামী। রোজির দরিদ্র পরিবার দাবি পূরণে অপারগ হলে রোজির ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। এক পর্যায় মঙ্গলবার রাতে রোজিকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে রোজির ভাই রাজিব খান জানান। মুকছেদ ইতিপূর্বেও দুটি বিয়ে করেছেন। তার নির্যাতনে ওই দুই স্ত্রীও চলে গেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। সিলেটে কিশোরী স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস থেকে জানান, গোয়ানঘাটে দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম সাথী বেগম (১৭)। সে উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের চিতারাই গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে। সাথীর পরিবারের সদস্যরা জানান, বুধবার সকালে সে ঘুম থেকে উঠে স্বাভাবিক কাজকর্ম করছিল। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার শোবার ঘরে গিয়ে পরিবারের লোকজন দেখতে পান রশিতে শরীর ঝুলে আছে। তারা তাকে দ্রুত গোয়াইনঘাট উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
×