ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রীন সিগন্যালে ওমান থেকে টেকনাফে ফিরলেন ইয়াবা বিক্রেতা

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

গ্রীন সিগন্যালে ওমান থেকে টেকনাফে ফিরলেন ইয়াবা বিক্রেতা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ আড়াই লক্ষাধিক ইয়াবা উদ্ধার মামলার চার্জশীট থেকে বাদ পড়ার গ্রীন সিগন্যাল পেয়ে ওমান থেকে দেশে ফিরেছে এক ইয়াবা গডফাদার। সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা সম্রাট টেকনাফের লেদার হেলাল উদ্দিন। স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা গডফাদার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা ঠুকে দেয়ার পর গ্রেফতার এড়াতে বিদেশে পালিয়ে যায়। সেখানে প্রায় দুই মাসের বেশি অবস্থানের পর স্বজনরা তাকে সুখবর জানালে সে তড়িগড়ি করে চলে আসে টেকনাফে। উখিয়া থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার গ্রীন সিগন্যাল পেয়ে আদালতে মামলার চার্জশীট জমা পড়ার আগেই সে দেশে ফিরে এসেছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, গত ১৫ জুলাই উখিয়ার বালুখালীর হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ২ লাখ ৫৫ হাজার ইয়াবাসহ ঢাকাগামী একটি ট্রাক জব্দ করে। এ ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের এসআই রাজেশ বড়ুয়া বাদী হয়ে ড্রাইভার যশোর জেলার শার্শা থানার আব্দুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ মিন্টু আলী, ট্রাকের হেলপার একই এলাকার মশিউর রহমানের ছেলে দেলোয়ার হোসেন, ট্রাকের মালিক হামিদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা গডফাদার টেকনাফের লেদা এলাকার জালাল সওদাগরের ছেলে হেলাল উদ্দিনসহ চারজনকে এজাহার নামীয় আসামি করে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) কায় কিসলু। এ মামলায় ট্রাক ড্রাইভার মিন্টু আলী কক্সবাজারে ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজ উদ্দিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। মামলাটি দায়েরের পর থেকেই বিভিন্নভাবে হেলাল উদ্দিনের আত্মীয়রা পুলিশের কাছে তদ্বির চালায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা গডফাদার হেলাল উদ্দিন এর আগেও গ্রেফতার হয়েছিল। ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট হেলাল ও বনি আমিনসহ চার পাচারকারীকে প্রায় ৩০ হাজার ইয়াবাসহ রাজধানীর মাতুয়াইল থেকে আটক করে র‌্যাব। সে সময় র‌্যাব তাদের কাছ থেকে টাকা ও ১৩টি মোবাইল ফোন এবং একটি ওয়াই-ফাই মডেম উদ্ধার করে। ওই সময় গ্রেফতারকৃত ইয়াবা বিক্রেতা হ্নীলা লেদা এলাকার মৃত জালাল আহমদ সওদাগরের ছেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ও একাধিক মামলার আসামি হেলাল উদ্দিন, হ্নীলা ফুলের ডেইল এলাকার মৃত মুসলিম উদ্দিনের ছেলে বনি আমিন, ঢাকার নাজমুল হাসান ও ইব্রাহিম হাওলাদারকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, ইয়াবাসহ মাদক মামলাগুলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর মামলা, এসব মামলার বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি থাকে সর্বদা। মামলা থেকে বাদ যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
×