ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

এখন নির্যাতনের ধরন পাল্টেছে রাখাইনে রিফিউজি ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে

৫৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার বড় ঢল আসছে

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ৪ নভেম্বর ২০১৭

৫৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার বড় ঢল আসছে

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি এখনও রোহিঙ্গাদের প্রতিকূলে। টানা সামরিক অভিযানে গণহত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও, লুটতরাজসহ অমানবিক বিভিন্ন ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর এখন বর্বরতার ধরন পাল্টেছে। ফলে বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত উখিয়া উপজেলার পালংখালি আঞ্জুমানপাড়া দিয়ে ৫ সহস্রাধিক রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে। এছাড়া সীমান্তের ওপারে জিরো পয়েন্টে শুক্রবার পর্যন্ত ৫৫ সহ¯্রাধিক রোহিঙ্গার বড় একটি ঢল বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পথে রয়েছে। এরমধ্যে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বরাবর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু দংখালী সীমান্তে ২৫ হাজার ও উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়া বরাবর রাখাইনের কুয়াংচিবং সীমান্তে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে বলে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের সূত্রে দাবি করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়া দিয়ে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের পক্ষে জানানো হয়েছে, মিয়ানমারের সেনা ও পুলিশ রোহিঙ্গাদের এনভিসি (ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড) নিতে বা গ্রহণ করতে বাধ্য করছে। হুঁশিয়ার করে দেয়া হয়েছে রোহিঙ্গারা যেন তাদের কোন সহায়সম্পদের দাবি না করে। এছাড়া সেনাবাহিনী তাদেরকে যেখানে নিয়ে যাবে সেখানে রোহিঙ্গাদের যেতেই হবে। কোন রোহিঙ্গাকে এনভিসি কার্ড ছাড়া পাওয়া গেলে চরম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাদের এনভিসি কার্ড দেয়া হয়েছে তাদের প্রতি পরিবার থেকে একজনকে সপ্তাহে ৩ দিন করে বিনা পারিশ্রমিকে সেখানকার পুলিশ ও সেনাদের বিভিন্ন কাজে শ্রম দিতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় ইতোমধ্যে অনেকে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এছাড়া মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর আউং সান সুচি বৃহস্পতিবার মংডু ও রাখাইনে সকালে এ বলে সরকারী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যে, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে রাখা হবে। অর্থাৎ, নিজ দেশেও রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হয়ে জীবনযাপন করতে হবে। ওপারের সূত্র জানিয়েছে, গত ২৫ আগস্ট রাত থেকে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে চলেছে গণহত্যা। আর বর্তমানে অর্থাৎ ঘটনা শুরু হওয়ার ৬৮ দিন পর আউং সান সুচি বৃহস্পতিবার রাখাইন রাজ্য সফরে এসে যে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন তাতে স্পষ্ট হয়েছে সে দেশে এখনও অবস্থানরত এবং বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে নেয়া হলে তাদের সকলকে ‘রিফিউজি’ হিসাবেই জীবনযাপন করতে হবে। রোহিঙ্গাদের সূত্রে জানানো হয়েছে, মূলত এসব কারণে রোহিঙ্গারা দলে দলে এখনও বাংলাদেশমুখী হয়ে আছে। আর বাংলাদেশ আশ্রয় দানকারী লাখ লাখ রোহিঙ্গা উপরোক্ত পরিস্থিতির আলোকে জীবনের অনিশ্চয়তা নিয়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে অনাগ্রহী হয়ে আছে। গত ১ নবেম্বর রাত থেকে উখিয়ার পালংখালি আঞ্জুমানপাড়া দিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত ১৫ সহস্রাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের সীমান্ত পয়েন্ট যেহেতু খোলা রয়েছে সেক্ষেত্রে রোহিঙ্গারা অবাধে এদেশে ঢুকে পড়েছে। আর বিজিবি তত্ত্বাবধানে এদেরকে আশ্রয় ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর ইকবাল জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের প্রথমে নোম্যানস ল্যান্ডে অবস্থান করানো হচ্ছে। পরবর্তীতে তাদের তল্লাশি করে ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। শাহ পরীরদ্বীপে কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে শুক্রবার ভোরে অসংখ্য রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু অনুপ্রবেশ করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদের নাম-ঠিকানা তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। শাহ পরীরদ্বীপে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার সকালে এ দ্বীপ দিয়ে অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। বিজিবির মেজর ইকবাল শুক্রবার অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মিয়ানমারের সেনা ও পুলিশ সদস্যরা নির্যাতনের ধরন পাল্টে নতুন কৌশলে রোহিঙ্গাদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জীবনযাপন এখনও সম্পূর্ণ তাদের প্রতিকূলে। রোহিঙ্গাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে স্বাধীনতা বলতে কিছুই নেই। সামরিক অভিযানে হাজার হাজার রোহিঙ্গার প্রাণহানি ঘটেছে। আগামীতেও অবশিষ্টরা যে প্রাণে বেঁচে থাকবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। মূলত এ কারণেই বাংলাদেশে আশ্রিত হয়ে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্নে বিভোর ওরা এখনও দলে দলে দেশান্তরী হয়ে সীমান্ত গলিয়ে চলে আসছে। বাংলাদেশের কয়েকটি প্রস্তাবে অসম্মতি মিয়ানমারের ॥ রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে মিয়ানমার নেত্রী আউং সান সুচি বাংলাদেশ সরকারের দেয়া কয়েকটি প্রস্তাবে অসম্মতি জানিয়েছেন। বিশেষ করে কোফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে গেছেন সুচি। বৃহস্পতিবার মংডু সফরকালে সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে রোহিঙ্গাদের নিজ গৃহে নয়, ক্যাম্পে রাখার একটি প্রস্তাব দিয়ে গেছেন সুচি। উল্লেখ করা যেতে পারে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ১৯৯২ সাল থেকে এ পর্যন্ত যত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রিত হয়েছে, তাদের সকলকে ফেরত নিতে হবে। এ প্রসঙ্গে মিয়ানমারের পক্ষে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের অক্টোবরের আগে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে গেছে, তাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে তারা কোন প্রতিশ্রুতি দেবে না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাবের আরেকটি ধারায় বলা আছে, ফেরত পাঠানোর জন্য ১৯৯২ সালের নির্ধারিত মানদ- এখানে প্রযোজ্য হবে না। এ জন্য পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন মানদ- নির্ধারণ করতে হবে। এ ব্যাপারে মিয়ানমার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নতুন কোন মানদ- হবে না, ১৯৯২ সালের সমঝোতার ওপর ভিত্তি করে ২০০০ সালে যে সমঝোতা হয়েছিল, অল্প কিছু রোহিঙ্গার যাচাই-বাছাই করার জন্য সেটিকে মানদ- হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশের আরেকটি প্রস্তাব রয়েছে, রোহিঙ্গারা তাদের গৃহে প্রত্যাবর্তন করবে। এ প্রস্তাবের বিপরীতে মিয়ানমার বলেছে, তারা তাদের গৃহে নয়, এর কাছাকাছি একটি জায়গায় (আশ্রয় কেন্দ্র) প্রত্যাবর্তন করতে পারবে। বাংলাদেশের প্রস্তাবের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে,, জাতিসংঘকে রোহিঙ্গা ফেরত প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। কিন্তু এ বিষয়ে মিয়ানমার আপত্তি জানিয়েছে। এছাড়া, দু’দেশের তথ্যের মধ্যে অমিল হলে, যৌথভাবে যাচাই-বাছাইয়ের প্রস্তাব ছিল বাংলাদেশের। তবে মিয়ানমার এ প্রস্তাবেও রাজি নয়। গত ২৫ আগস্ট গভীর রাতের পর সামরিক অভিযান শুরু হয় রাখাইন রাজ্যে। অভিযানের ৬৮ দিন পর গত বৃহস্পতিবার প্রথমবার রাখাইন সফর করে সুচি রোহিঙ্গাদের জন্য ক্যাম্প নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে গেছেন। সুচির রাখাইন সফর ছিল আকস্মিক ও কোন ধরনের পূর্ব ঘোষণা ব্যতিরেকে। রোহিঙ্গাদের কক্ষ ত্রাণে ভর্তি ॥ বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ সহায়তায় এখন ঘাটতি নেই। প্রতিদিন ত্রাণ নিতে লাইন পড়ছে। চাল, ডাল, ত্রিপল, কাপড়, রসুন, পেঁয়াজ, ভোজ্য তেল, থালাবাসন, প্লাস্টিক সামগ্রী, গাছ-বাঁশ কিছুরই অভাব নেই। সাংসারিক প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সঙ্কট নেই। প্রতিটি কক্ষে ত্রাণের পাহাড় গড়ছে। তারপরও রোহিঙ্গাদের মুখে মুখে শুধু নাই নাই শব্দ। অর্থাৎ কিছুই পাই নাই। নতুন আসছি এই বাক্য। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ থাকলে শুধু ত্রাণ ত্রাণ আর নগদ টাকা প্রাপ্তির জন্য রোহিঙ্গাদের আগ্রহের শেষ নেই। উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয়দের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাল পেতে পেতে এত বেশি পেয়েছে যে, এখন আর চাল নিতে চায় না। অনেক রোহিঙ্গার কক্ষ আছে কিন্তু যেখানে ত্রাণ রাখার জায়গা নেই। এখন জমা করছে নগদ টাকা। তবে নগদ অর্থপ্রাপ্তিও কম নয়। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেন জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত যে ত্রাণ আছে তা পর্যাপ্ত। বন্ধুপ্রতিম দেশগুলো থেকে পাওয়া ত্রাণে এখনও হাত দিতে হয়নি। পচনশীল ছাড়া বাকি ত্রাণ জেলা প্রশাসন গোডাউনে রাখা হয়েছে। মিয়ানমারে জমির ধান কাটতে বাধা নেই ! রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেলে আসা পাকা ধান কেটে দেশটির বিভিন্ন গোডাউনে জমা করছে সেনাবাহিনী। হাজার হাজার একর জমির ধান এমনিতে নষ্ট হয়ে মাটিতে ঝরে পড়তে পারে বলেই মিয়ানমার সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে যেসব রোহিঙ্গা পাকা ধান কেটে ঘরে তুলছে, তাদের বাধা দিচ্ছে না সেনাবাহিনী। বরং এ কাজে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা দিচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, এমন দাবি করা হচ্ছে। রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের নিজের জমি না থাকলেও যে কোন জমি থেকে পাকা ধান কেটে নিতে উদ্বুদ্ধ করছে সেখানকার প্রশাসন। সেখানে থেকে যাওয়া রোহিঙ্গারা কিছু কিছু ধান ঘরে তুললেও এত ধান রাখার জায়গা না পেয়ে আর কোন জমিতে ধান আনতে যাচ্ছে না তারা। ফলে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এবং সহযোগিতায় পাকা ধান কেটে সরকারের বিভিন্ন গোডাউনে নিয়ে যাচ্ছে, সেখানকার বিভিন্ন সূত্রে জানানো হয়েছে। মরণব্যাধি এইডস ৫৫ জনের ॥ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৫ জনের দেহে মরণব্যাধি এইচআইভি-এইডসের জীবাণু পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) জাতীয় পরামর্শক অধ্যাপক ডাঃ বেনজীর আহমেদ আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৪ থেকে ৫শ’ এইচআইভি/এইডস রোগী পাওয়া যেতে পারে। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন আবদুস সালাম জানিয়েছেন, আক্রান্তরা ২ থেকে ৫৫ বছর বয়সী রোহিঙ্গা। ৫১ মিয়ানমারেই শনাক্ত হয়েছিল, বাংলাদেশে আসার পর আরও ৪ জনের দেহে এই জীবাণু শনাক্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, আক্রান্ত ৫৫ জনের মধ্যে ২৭ নারী, ১৯ পুরুষ, ৫ মেয়েশিশু ও ৪ ছেলেশিশু রয়েছে। সিভিল সার্জন আবদুস সালাম জানান, আক্রান্ত প্রত্যেককেই সরকার পরিচালিত জাতীয় এইচআইভি/এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর মাধ্যমে চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে। কারও অবস্থা হাসপাতালে ভর্তি হবার মতন এখনও হয়নি। ক্যাম্পেই পরিবার-পরিজনের সঙ্গে তারা আছেন। নিয়মিত ওষুধ সেবনের পাশপাশি দৈহিক মেলামেশা থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কোটি টাকার ইয়াবাসহ তিন রোহিঙ্গা আটক ॥ টেকনাফের সাবরাং নয়াপাড়া সীমান্ত পয়েন্ট থেকে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ৩০ হাজার ৯৫ পিস ইয়াবাসহ ৩ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে দমদমিয়া বিওপির বিজিবি। এসময় নৌকা ও কিছু মোবাইল সেট জব্দ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রির উদ্দেশে নিজ দখলে রাখা এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ধৃত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের হয়েছে। আটক রোহিঙ্গারা হচ্ছে- মিয়ানমারের মংডু খাঁরিপাড়ার মোঃ আবদুস শুকুর, মোঃ হায়াত উল্লাহ ও মোঃ আরেছ।
×