ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ॥ উল্টো বাংলাদেশকে দুষছে মিয়ানমার

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২ নভেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ॥ উল্টো বাংলাদেশকে দুষছে মিয়ানমার

বিডিনিউজ ॥ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রশ্নে বাংলাদেশের প্রস্তাবের বিষয়ে কোন জবাব না দিয়ে উল্টো এখন বিলম্বের জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করছে মিয়ানমার। দেশটির নেত্রী আউং সান সুচির একজন মুখপাত্র বলেছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য কোটি কোটি ডলারের বিদেশী সহায়তা হাতে পাওয়ার আগে বাংলাদেশ প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় কিনা- সে বিষয়েই তাদের সন্দেহ রয়েছে। রাখাইন রাজ্যের গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যে গত ২৫ আগস্ট থেকে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের কারণে আরও চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়ে আছে গত কয়েক দশক ধরে। বাংলাদেশ বরাবরই বলে আসছে, মানবিক কারণে আপাতত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হলেও তাদের অবশ্যই মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে হবে। এ সমস্যার পেছনে বাংলাদেশের কোন ভূমিকা নেই, সমস্যার সৃষ্টি ও কেন্দ্রবিন্দু মিয়ানমারে, সমাধানও সেখানে নিহিত। বার্তা রয়টাসের্র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর সুচির দফতরের মহাপরিচালক জ তাই মঙ্গলবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, মিয়ানমার ১৯৯২ সালের প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে যে প্রস্তুত আছে, সে কথা আগেই জানানো হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনও সে প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। আমরা শুরু করতে চাই। কিন্তু অন্যপক্ষ তো এখনও সাড়া দিচ্ছে না। ফলে দেরি হয়ে যাচ্ছে। আর বুধবার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার অর্থ বাংলাদেশে আসার বিষয়টি টেনেছেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ৪০ কোটি ডলার পেয়েছে। তারা যেভাবে টাকা পাচ্ছে, তাতে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আরও বিলম্বিত হবে বলে আমাদের আশঙ্কা। আমাদের মনে হচ্ছে, তারা হয়ত প্রত্যাবাসনের বিষয়ে নতুন কিছু ভাবতে পারে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর জন্য অক্টোবরের শুরুতে ঢাকায় দুই দেশের বৈঠকে একটি ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠনের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর গত মাসের শেষ দিকে মিয়ানমারে যান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে কোফি আনান কমিশনের সুপারিশের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নসহ ১০ দফা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়।
×