খেলার সবুজ মাঠে
আখতারুল ইসলাম
বিকেল বেলা খেলছি আমি কর্ণফুলীর পাড়ে,
হাসছে দেখো, সোনালি রোদ বাঁশবাগানের ঝাড়ে।
ইচ্ছেগুলো সাঁতার কাটে, ঢেউয়ের উপর নেমে,
উড়তে থাকা মেঘের ভেলা হঠাৎ গেলো থেমে।
স্বপ্ন পাখি উড়াল দিল মেঘের মিনার ঘেঁষে,
বকের সারি আসলো ঘুরে হাওয়ায় ভেসে ভেসে।
ডাক্ছে আমায় সবুজ পাহাড়, অভয়মিত্র ঘাট,
আমি তখন তামিম সাকিব, বুকে বিশাল মাঠ।
দুলছিল খুব দখিন হাওয়ায় চিকন নিমের ডাল,
সূর্যটাও রক্তে মাখা, মেঘের কিনার লাল।
মনের ভেতর সুখ- ফোয়ারা, হাস্নাহেনার ঘ্রাণে,
মাঠ আমাকে আটকে রাখে এক মায়াবী টানে।
মাঠের বুকে দূর্বা ঘাসে স্বপ্নবোনা আঁখি,
ঝিঁঝির ডাকে নামছে আঁধার, নীরব বনের পাখি,
সব ভুলেছি এই বিকেলে সূর্য গেলো পাটে,
ফিরছি ঘরে মনটা তবু খেলার সবুজ মাঠে।
*হেমন্তের ভাষা
এস এম শহীদুল আলম
কাঁচা-পাকা ধানে
কিষাণের গানে
মায়াবী সুর-ছন্দ-
যায় পালিয়ে মন্দ।
গোলাভরা ধানে
কী যে সুখ আনে
হেমন্তের এ ভাষা-
বুঝেন ভালো চাষা।
ঘরে ঘরে উৎসব
মধুময় কলরব
শান্তির এই ঘ্রাণ-
জুড়ায় সব প্রাণ!
*নবান্নটা জাগে
চয়ন বিকাশ ভদ্র
ধানের ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ে
হিজল গাছের ছায়া,
ফুলে ছাওয়া কুল গাছের
চোখে ভীষণ মায়া।
চোখে মুখে মিষ্টি পরশ
বুলিয়ে দেয় হাওয়া,
ভালো লাগে নৌকা করে
শাপলা তুলতে যাওয়া।
নদীর ধারে ধানের ক্ষেতে
মিষ্টি রোদের ছোঁয়া,
বিকেলবেলা আকাশে ভাসে
কুয়াশা আর ধোঁয়া।
পাকা ধানের গন্ধে মনে
খুশীর আবেশ লাগে।
বাংলা মায়ের ঘরে ঘরে
নবান্নটা জাগে।
*হেমন্ত এসে গেছে
আলমগীর কবির
ঘাসবনে দোল খায় শিশিরের দুল
শিশিরের ঠোঁটে ফোটে রৌদ্রের ফুল।
হেমন্ত এসে গেছে পাকা ধান হাসে
মাঠে মাঠে চাষিদের মিঠে গান ভাসে।
হাওয়ার ঢেউ এসে দিয়ে যায় দোল
রঙে রূপে রাঙা হলো মমতার কোল।
পাখিদের ছুটোছুটি যায় নাকো থেমে
নীলে ঢাকা আসমান দূরে আসে নেমে।
ডেকে যায় দূর মাঠ, বকুলের বন
সবুজের আঙিনায় ছুটে যায় মন।