স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে ও দেশের বাইরে ম্যাড থেটারের ‘নদ্দিউ নতিম’ নাটকটি একের পর এক সফল প্রদর্শনীর মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যতিক্রম মাসডো ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনের (আইসিসিআর) উদ্যোগে ভারতের গৌহাটিতে আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবে আমন্ত্রিত হয়েছে ‘নদ্দিউ নতিম’। আগামী ২৮ ও ২৯ অক্টোবর অসম রাজ্যের রাজধানী গৌহাটির কর্মশ্রী হিতেশ্বর শইকিয়া প্রেক্ষাগৃহ ও সাউথ পয়েন্ট স্কুলে নাটকটির ২টি প্রদর্শনী হবে। কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘কে কথা কয়’ উপন্যাস অবলম্বনে নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন আসাদুল ইসলাম। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন আসাদুল ইসলাম, সোনিয়া হাসান ও আর্য মেঘদূত।
নাটকটির সহযোগী নির্দেশক আনিসুল হক বরুণ, সেট ও লাইট ডিজাইন ফয়েজ জহির, পোশাক সোনিয়া হাসান, আবহসঙ্গীত আর্য মেঘদূত, আলোক নিয়ন্ত্রণে গর্গ আমিন ও আবহসঙ্গীত নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন সোহেল খান ও আরিফ। সংশ্লিষ্টরা মনে করে
তিনটি কারণে ‘নদ্দিউ নতিম’ নাটকটি দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং দর্শকদের মধ্যে তীব্র আগ্রহের জন্ম দিয়েছে, সেগুলো হলো প্রথমতÑ বাংলাদেশের মূলধারার নাটকে ‘নদ্দিউ নতিম’ই প্রথম প্রযোজনা যেখানে একজন শিশু একটি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছে। দ্বিতীয়তÑ বর্তমান সময়ে একজন মানুষ অন্য একজনকে হত্যার জন্য নিজেকে আত্মাহুতি দিচ্ছে। এই নাটকে দেখা যায় একজন মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুকে বাঁচাতে একজন কবির নির্বিকার আত্মাহুতি। অর্থাৎ অন্যকে হত্যা করতে নয় বরং বাঁচাতেই আরেক মানুষের জীবন উৎসর্গ যা এই সময়ের জন্য এক অনন্য আদর্শ হিসেবে পরিগণিত। তৃতীয়তÑ এই নাটকে একটি কাল্পনিক পরিবারের কাহিনী মঞ্চস্থ হয় যা একটি বাস্তব পরিবারের সদস্যরা অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের সামনে ফুটিয়ে তোলে। এদিকে গৌহাটির ওই নাট্যোৎসব প্রসঙ্গে অন্যতম আয়োজক আইসিসিআরের ডিরেক্টর প্রণামী ভাগবতী মনে করেন, এই উৎসবের আয়োজন খুব ভাল উদ্যোগ। অসমের প্রতিবেশী বাংলাদেশ। যত বেশি সাংস্কৃতিক বিনিময় হবে ততই দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্কের বাঁধন গভীর হবে।
ব্যতিক্রম মাসডোর সভাপতি ড. সৌমেন ভারতীয়া আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের ম্যাড থেটার যেমন আসামে আসছে তেমনি অদূর ভবিষ্যতে আসামের নাট্যগোষ্ঠী বাংলাদেশেও পারফর্ম করার সুযোগ পাবে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে এই গৌহাটিতে ম্যাড থেটার ‘নদ্দিউ নতিম’ নাটকের একটি প্রদর্শনী করে।
এপ্রিলের ওই প্রদর্শনী দর্শককে আকৃষ্ট করায় আয়োজকরা একই নাটককে পুনরায় প্রদর্শনীর জন্য আমন্ত্রণ জানায়।
