স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার জামায়াত নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য আবু সালেহ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে পুনরায় যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে। আজ আসামি পক্ষের আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন। এর পর প্রসিকিউশন পাল্টা যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করবে। চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ এই যুক্তিতর্ক হচ্ছে। প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আসামি লতিফের পক্ষে আইনজীবী খন্দকার রেজাউল এবং পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।
প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন যুক্তিতর্কে বলেন, এটা কোন সাধারণ হত্যাকান্ড- নয় । মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতৃত্বশূন্য করতেই রানিং ১৫ চেয়ারম্যানকে হত্যা করা হয়। প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, গত ৯ মে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেল রায়ের জন্য মামলাটি অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন। বিচারপতি আনোয়ারুল হক মৃত্যুবরণ করায় ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নবগঠিত ট্রাইব্যুনাল মামলাটি পুনরায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করে আদেশ দিলে রবিবার থেকে প্রসিকিউশন যুক্তিতর্ক শুরু করে। ট্রাইব্যুনালের ২৯তম মামলা যেটি বিচারের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এর আগে আরও ২৮ মামলার রায় ঘোষণা করেছে ট্রাইব্যুনাল। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-জামায়াতের সাবেক এমপি আবু সালেহ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয়জন। অন্যান্য আসামি হলে মোঃ রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু (৬১), মোঃ আব্দুল লতিফ (৬১), আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী (৫৯), মোঃ নাজমুল হুদা (৬০) ও মোঃ আব্দুর রহিম মিঞা (৬২)। এই ছয়জনের মধ্যে মোঃ আব্দুল লতিফ কারাগারে, বাকি পাঁচজন পলাতক।
