ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বছরের পর বছরও মিলছে না অনুমতি

মংলায় মাসোয়ারা দিয়েই চলছে করাতকল

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২১ অক্টোবর ২০১৭

মংলায় মাসোয়ারা দিয়েই চলছে করাতকল

নিজস্ব সংবাদদাতা, মংলা, ২০ অক্টোবর ॥ মংলার সক স’মিল অবৈধ! এমনটাই দাবি লাইসেন্স প্রদানকারী সংস্থা বনবিভাগের। তবে মালিকপক্ষের দাবি মংলায় করাতকল (স’মিল) স্থাপনের জন্য লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদনের পর লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে একের পর এক তদন্তে সুপারিশ মিললেও পাওয়া যায় না সরকারের অনুমতিপত্র (লাইসেন্স)। তবে মাসোহারা দিয়েই চালাতে হয় করাতকল। কর্মকর্তা আসে কর্মকর্তা যায়, দিয়ে দেন লাইসেন্স পাওয়ার সুপারিশ, কিন্তু মিলছে না লাইসেন্স। এতে করে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি হচ্ছে অবৈধ অর্থের লেনদেন। এভাবেই চলে আসছে বছরের পর বছর। মোক্তার হোসেন মল্লিক ও জসিম উদ্দিন মৃধা ২০১৩ সালের ১৭ এপ্রিল করাতকল স্থাপনের লক্ষ্যে লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বনবিভাগ একাধিকবার তদন্ত করে। এরপর উপজেলা যাচাইবাছাই কমিটি জেলা কমিটিকে লাইসেন্স দেয়া যেতে পারে মর্মে সুপারিশ করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তিনি কাক্সিক্ষত সেই লাইসেন্সটি পাননি। নুরুল হক জোমাদ্দার ২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি করাতকল স্থাপনের লক্ষ্যে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বনবিভাগ একাধিকবার তদন্ত করে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে লাইসেন্স দেয়ার সুপারিশ করলেও লাইসেন্স পাননি নুরুল হক জোমাদ্দার। এমন বহু উদাহরণ রয়েছে এখানে। এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে সেই সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ গত ১ সেপ্টেম্বর মংলার ২৩টি করাতকলের মধ্যে ৯টি করাতকলকে অবৈধ ঘোষণা করে তা উচ্ছেদের জন্য পত্র জারি করেছে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। স’মিল মালিক মোসাঃ নূর জাহান বেগম জানান, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সরকারী নিয়ম মেনে বৈধ ব্যবসা করার জন্য সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি। মংলা পৌরসভা, উপজেলা ভূমি অফিস, মংলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সুপারিশ দিয়েছে এবং বনবিভাগ তদন্ত করে লাইসেন্স প্রদান করা যেতে পারে মর্মে মতামত দিয়েছে আবার সেই বনবিভাগ আমার প্রতিষ্ঠানকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে সহকারী বন সংরক্ষক মেহেদি জামান মংলাতে কয়টি করাতকল বৈধ এবং কয়টি অবৈধ তার হিসাব তিনি জানাতে পারেননি। তবে তিনি দাবি করেন, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে বন সংরক্ষক (ডিএফও) স’মিল উচ্ছেদ অভিযানে নামেননি। তবে লাইসেন্স না থাকার জন্য ৯টি স’মিলের বিদ্যুত সংযোগ কেটে দেয়ার জন্য বিদ্যুত বিভাগকে অনুরোধ করেছে বাগেরহাট ডিএফও।
×