অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান বলেছেন, বন্ড সুবিধার আওতায় যেসব কাপড় আসে তা হয় আমদানিনিষিদ্ধ কিংবা শুল্কহার উচ্চ। সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে ও শুল্কহার কমিয়ে দিলেই বন্ডের পণ্য আর খোলাবাজারে যাবে না।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) আয়োজিত ‘২০২১ সালে ৫ হাজার কোটি ডলারের পোশাক রফতানি : সরঞ্জাম ও মোড়কীকরণ পণ্যের অবদান ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সমিতির সাবেক সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, গত অর্থবছর সরঞ্জাম ও মোড়কীকরণ পণ্যের প্রচ্ছন্ন রফতানির পরিমাণ ছিল ৬৭০ কোটি ডলার। আর সরাসরি রফতানি হয়েছে ১১২ কোটি ডলারের সরঞ্জাম ও মোড়কীকরণ পণ্য। পশ্চাদমুখী খাতটির জন্যই তৈরি পোশাক রফতানি আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে। পোশাকের লিড টাইম (ক্রয় আদেশ পাওয়া থেকে পণ্য জাহাজিকরণের সময়) কমে এসেছে। পোশাক খাতের ব্যবহৃত ৯৫ শতাংশ সরঞ্জাম ও মোড়ক পণ্য দেশীয় কারখানাগুলোই যোগান দেয়।
তিনি বলেন, সরঞ্জাম ও মোড়ক পণ্য খাতটি এগোতে না পারলে পোশাক খাতের ৫ হাজার কোটি ডলার রফতানি আয় সম্ভব নয়। সম্ভাবনাময় এই খাতের দাবি বাস্তবায়নে অনেকে আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কোন ব্যবসায়িক সংগঠনের কত সংসদ সদস্য রয়েছে তার ওপর তাদের দাবি-দাওয়া আদায় নির্ভর করে। পোশাক খাতের মালিকদের মধ্যে ৩৫ সংসদ সদস্য আছেন। সরঞ্জাম ও মোড়কীকরণ পণ্য খাতে আছেন মাত্র দুজন। তবে তারাও আবার খুব একটা সক্রিয় নন।
এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, প্রচুর টাকা পড়ে থাকার পরও চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য চারটির বেশি গ্যাংট্রিক ক্র্যান কিনতে পারলাম না। এ ব্যর্থতার জন্য সারা দেশ ও দেশের অর্থনীতি ভুগছে।
সমিতির সভাপতি আবদুল কাদের খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন, বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো নাজনীন আহমেদ, বেসরকারী গবেষণা সংস্থা সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।