ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঘুমের সমস্যা সমাধানে...

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

ঘুমের সমস্যা সমাধানে...

আমাদের আশপাশে একটু খুঁজলেই দেখা যাবে, এমন মানুষ খুব কমই আছে যারা রাতে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারেন অথবা সকালে উঠেই যার মনে হয় রাতের ঘুমটা যথেষ্ট ছিল। কিন্তু তার মানে আবার এটাও নয় যে যারা রাতে খুব শান্তিতে ঘুমিয়ে পার করছেন তাদের সংখ্যাও কম। রাতে একটি পরিপূর্ণ ঘুমই পরদিন পুরোটা সময় শক্তি, মানসিক ভারসাম্য এবং শারীরিক প্রশান্তির যোগানদাতা। তাহলে চলুন, দেখে নেয়া যাক কীভাবে আমরাও ভিড়তে পারি শান্তিতে ঘুমাতে পারা মানুষগুলোর দলে। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন ঘুমাতে যাবার এবং ঘুম থেকে উঠার একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করুন। ছুটির দিনেও এই সময় মেনে চলুন। খুব বেশি হলে ১৫-২০ মিনিট এদিক সেদিক করতে পারেন। কিন্তু এর বেশি নয়। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের জন্য ৭-৮ ঘণ্টা এবং ১৮ বছরের কম বয়সী তরুণ বা তরুণীদের জন্য সাড়ে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম খুবই জরুরী। শরীরের চাহিদা বুঝুন বুঝতে চেষ্টা করুন ঠিক কোন্ সময়ে আপনার ঘুম আসছে। সেই সময়ের পরিবেশ লক্ষ্য করুন। হয়ত যখন চারপাশ নিশ্চুপ থাকে আপনি তখন ঘুমাতে পারেন, হয়তবা লাইট জ্বেলে রাখলে আপনার ঘুম হয় না কিংবা রুমের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কমে নেমে আসলে আপনার চোখের পাতা ভারি হয়। এসব ছোট দিকে খেয়াল রাখুন। ঠিক এ পরিবেশটাই আপনি আপনার নির্ধারিত সময়ে সৃষ্টি করতে পারলে ঘুম আসতে বাধ্য। ঘুমানোর আগে কিছু ধরাবাঁধা কাজ রাখুন প্রত্যেকদিন ঘুমানোর আগে কিছু কাজ ঠিক করুন। সেটা হতে পারে পরদিনের জন্য গোছগাছ করা, হতে পারে হালকা গান শোনা অথবা যেকোন হালকা কাজ। এ কাজগুলো যখন করবেন তখন আপনার মস্তিষ্ক তাতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে এবং ধীরে ধীরে কাজগুলো করার কিছুক্ষণ পরেই আপনার ঘুম আসবে। বিছানায় যান শুধু ঘুমের সময় অনেকেরই বিকেলে একটু শোবার অভ্যাস থাকে অথবা সন্ধ্যায় শুয়ে শুয়ে বই, ম্যাগাজিন এবং পত্রিকা ইত্যাদি পড়ার অভ্যাস থাকে। এগুলো পরিত্যাগ করুন। সামান্যতম বিশ্রামেও আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ক্যাফেইনকে ‘না’ বলুন আপনার যদি খুব চা-কফি বা কোমল পানীয় পান করার অভ্যাস থাকে, তাহলে আপনার জন্য দুঃসংবাদ। এগুলোর সঙ্গে আপনাকে আড়ি দিতে হবে। কারণ এসবে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে যা আপনাকে ঘুম থেকে বিরত রাখে। অন্তত আপনি যে সময়টি ঘুমের জন্য নির্ধারণ করেছেন, তার ৪-৫ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত এ জাতীয় কোন পানীয় পান করবেন না। রুমে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আসতে দিন দিনের আলো-বাতাস শরীরের চামড়ায় বিশেষ প্রভাব ফেলে। লক্ষ্য করে দেখবেন, যদি আপনি খুব ভোরে উঠে বাইরে খোলা জায়গায় হেঁটে আসেন, তাহলে আপনার সারাটা দিন শরীর এবং মন বেশ চাঙ্গা থাকে। তাই রুমে খুব ভাল ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা রাখুন।
×