স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হরতাল আহ্বান করে ঘরে বসে কেউ হিন্দী সিরিয়াল দেখে, আবার কেউ কেউ এসি রুমে বসে বাইরে পুলিশের গতি বিধির খবর নেয়। জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের কর্মসূচী আহ্বান করে তারা নিজেরাও অংশগ্রহণ করে না। হরতাল নামে অধিকার আদায়ের গণতান্ত্রিক হাতিয়ারকে অপপ্রয়োগ করতে করতে অকার্যকর বানিয়ে ফেলেছে কয়েকটি দল। কক্সবাজারে ৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য সড়ক ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা দিয়েছে আদালত। এখানে সরকার বা আওয়ামী লীগের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। কাজেই বিএনপি এবং তার সহযোগীরা আদালতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে বলে প্রমাণিত হয়।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামিম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন, পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন, সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ূয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধরণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ও পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
রোহিঙ্গাস্রোতের সঙ্গে আসছে অস্ত্র ও ইয়াবা
মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাস্রোতের সঙ্গে ইয়াবা এবং অস্ত্রও ঢুকছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এগুলো আমাদের সমাজে বিপর্যয় ও সাংঘাতিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে। এ বিষয়েও সকলের সতর্ক থাকা উচিত।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময় তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক আচরণ প্রদর্শনে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে এখনও ¯্রােতের মতো রোহিঙ্গারা আসছে। তবে এর সঙ্গে আসছে ইয়াবা এবং অস্ত্রও, যা আমাদের সমাজে বিপর্যয় এবং নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে জাতিসংঘের প্রতি আহবান জানান। কাদের বলেন, এই বোঝা আমরা দীর্ঘদিন সহ্য করতে পারব না। এটি আমাদের জন্য অসহ্য হয়ে গেছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ তার অঙ্গীকার রক্ষা করেনি বলে উল্লেখ করে বলেন, এ জন্যই মিয়ানমারে বসনিয়া ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটে গেছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত অথবা অন্য কোন দেশে স্থানান্তরিত করার জন্য জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।