ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির সমালোচনার জবাবে কাদের

কূটনৈতিক উদ্যোগ ব্যর্থ হলে মিয়ানমারের মন্ত্রী কী করে আসেন?

প্রকাশিত: ০৫:২০, ৯ অক্টোবর ২০১৭

কূটনৈতিক উদ্যোগ ব্যর্থ হলে মিয়ানমারের মন্ত্রী কী করে আসেন?

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রোহিঙ্গা সঙ্কটে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে বলেছেন, বাংলাদেশের কূটনৈতিক উদ্যোগ ব্যর্থ হলে মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে উদ্যোগী হতো না। তাদের সুর যদি নরম না হতো, অবস্থানের পরিবর্তন না হতো, তাহলে মিয়ানমারের মন্ত্রী কী করে বাংলাদেশে আসেন? আলোচনা করেন? রবিবার রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বিএনপির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আরও বলেন, আমাদের সব কিছুর জন্য একটু ঠা-া মাথায় অপেক্ষা করতে হবে। যদি কোন ফাঁদে আমরা পা দেই, তাহলে গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন আপনারা বিএনপি কী বলল- তা নিয়ে বার বার বলছেন। রোহিঙ্গা সমস্যার ব্যাপারে তারা (বিএনপি) কতটা আন্তরিক? বিএনপি যদি সত্যিই উদ্বিগ্ন হত, তাহলে দলটির নেত্রী খালেদা জিয়া দিনের পর দিন বিদেশে অবস্থান করেন কীভাবে? বাকিরা এখানে বসে শুধু প্রেস ব্রিফিংয়ে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছেন। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা যে হতাশ, এ থেকে কর্মীদের চাঙ্গা করতে তারা আবোল তাবোল বকছেন। এছাড়া আমি অন্য কিছু দেখছি না।’ মিয়ানমার থেকে আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে- জাতিসংঘের এমন আশঙ্কার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি স্পটে ছিলাম সঙ্কটের শুরু থেকে। আমি নিজেই সেই জনস্রোতটা দেখেছি। আগের মতো সেই জনস্রোত আর নেই। আরও আসতে পারে এ আশঙ্কা জাতিসংঘ করছে। কাজেই জাতিসংঘেরই এখানে কঠোর অবস্থান নেয়া উচিত, যাতে নতুন করে সেখানে সেই ধরনের ঘটনা হতে না পারে।’ মিয়ানমার বারবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে- এ বিষয়ে বাংলাদেশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শুরুর দিকে কিছু ঘটনা ঘটলেও বিশ্ব জনমতের চাপে, জাতিসংঘসহ বাংলাদেশের কূটনৈতিক উদ্যোগের ফলে এখন আর সেটা হচ্ছে না। সীমান্তে রোহিঙ্গা ঢল বন্ধ করতে সরকার কোন উদ্যোগ নেবে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন ওয়াশিংটনে ছিলেন, আমি একদিন তাঁর সঙ্গে আলাপ করেছিলাম যে অনেকেই বলছে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার জন্য। তখন তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাকে বলেছেন, আমরা যখন মানবিক কারণে সীমান্তের দরজা খুলে দিয়েছি। এখন আবার কী এমন কারণ ঘটল যে এটার পরিবর্তন হবে?’ বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাদের এভাবে বাস্তুচ্যুত করার পেছনে কোন ষড়যন্ত্র আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা আমি জানি না। ষড়যন্ত্র তো একটা আছেই। মিয়ানমার এদের নাগরিক বলে স্বীকার করে না। এখানে এই মুহূর্তে কেন এটা হলো, সেটা অবশ্যই ভেবে দেখতে হবে, খতিয়ে দেখতে হবে। হুট করে কোন মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে চক্রান্ত তো একটা আছেই। চক্রান্তের স্বরূপটা এখনও বলা যাচ্ছে না।’
×