ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনের সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাব বাসদের

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ৬ অক্টোবর ২০১৭

নির্বাচনের সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাব বাসদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনের সময়ে শুধুমাত্র রুটিন কাজ পরিচালনাকারী অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের সমাতান্ত্রিক দল বাসদ। তবে তারা বলছেন এ ধরনের অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থা কিভাবে দল নিরপেক্ষ করা যায় সে বিষয়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় মতামত সৃষ্টি করা জরুরী বলে মনে করছে দলটি। এছাড়া তফসিল ঘোষণার দিন থেকে পূর্ববর্তী নির্বাচিত প্রতিনিধিরা অব্যাহতি পেয়েছে বলে গণ্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এদিকে জাকের পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার একটি স্থায়ী রূপ দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দল দুটির পক্ষ থেকে একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এই প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। বেলা ১১টায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ইসি। দলটির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানের নেতৃত্বে ১৪ জন সদস্য ইসির সংলাপে অংশ নেয়। সংলাপে দলের পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচন নিয়ে ১৩ দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। অপরদিকে বেলা ৩টায় জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সালের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনায় যোগ দেয়। সংলাপে দলটির পক্ষ থেকে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হলেও নির্বাচন সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন প্রস্তবনা দেয়া হয়নি। এদিকে বাসদের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন, দল নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে আলোচনা, নির্বাচনী ব্যয় ও জামানত কমানো, প্রতি তিন আসনে একজন নারী সদস্যের অংশগ্রহণ, ইভিএম নিয়ে আরও পরীক্ষামূলক কার্যক্রম নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে মত দিয়েছে তারা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে দলের পক্ষ থেকে সেনা মোতায়েনের কথা বলা হয়নি। তিনি বলেন, সেনা মোতায়েন যদি সুশৃঙ্খলতার জন্য হয়, সংঘাত মোকাবেলার জন্য সেনা ডাকতে হয়, তাহলে তো নির্বাচন হয় না। সেনা ছাড়া পরিস্থিতি যদি ইসি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তাহলে নির্বাচনই তো হবে না উল্লেখ করেন। বাসদের পক্ষ থেকে দেয়া অন্য প্রস্তাব মধ্যে রয়েছে অবাধ নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য শুধুমাত্র রুটিন কাজ পরিচালনাকারী সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান; এই ধরনের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা কিভাবে দল নিরপেক্ষ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় মত সৃষ্টি; নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আলাদা আইন এবং কমিশনের জন্য আলাদা বাজেট দেয়া, নির্বাচনী জামানত ৫ হাজার টাকা ও নির্বাচনী ব্যয় ১০ লাখ টাকার মধ্যে সীমিত রাখা, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জন্য আজীবন সম্মানী ভাতা চালু করা, নির্বাচনে কালো টাকা, পেশিশক্তি, সাম্প্রদায়িকা ও আঞ্চলিকতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলের প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করা; পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা ও নির্বাচনী বিরোধ মেটানোর জন্য স্বতন্ত্র আলাদা আদালত গঠন প্রভৃতি। এদিকে জাকের পার্টির পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব না থাকলেও দলটির চেয়ারম্যান বলেন, অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য দেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে সব রাজনৈতিকদলগুলোকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন আরপিও বিধান ইংরেজীর পাশাপশি বাংলা ভাষায় হলে ভাল হয়। এছাড়া তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসিকে একবার নয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বারবার বৈঠক করা জরুরী। মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে পারেনি ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ফল প্রকাশের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন ডেকে তা করতে পারেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের সম্মান চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ করা। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা কোন আন্দোলন করতে পারবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
×