ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টি ইসলাম তারিক

ড্রিবলিং মাস্টার বাবলু

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৪ অক্টোবর ২০১৭

ড্রিবলিং মাস্টার বাবলু

ঢাকায় তারকা ফুটবলার হাসানুজ্জামান বাবলু ব্রাদার্স ইউনিয়নে ১৯৭৩ সালে তৃতীয় বিভাগ ফুটবল দিয়ে যাত্রা শুরু করেন ্র ’৭৩ সালে তৃতীয় বিভাগ এবং ’৭৪ সালে দ্বিতীয় বিভাগ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয় ব্রাদার্স ্র সেসময়ই বাবলু-মহসিন জুটির নাম ছড়িয়ে পড়ে ফুটবলাঙ্গনে্র আরও দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে নবাগত হয়ে ১৯৭৫ সালের লীগে আবাহনীর সঙ্গে প্রথম মোকাবেলাতেই জয়লাভ ্র এরপর বাবলুকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি ্র শীর্ষস্থানীয় দুই দল মোহামেডান-আবাহনীতেনা খেললেও জাতীয় দলে জায়গা করে নেন তিনি ১৯৭৫ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত মাঝমাঠ থেকে অনেক গোল করেছেন। দল জিতিয়েছেন বহুবার। তবে একটা জয়ের কথা মনে হলে তিনি আজও চমকে উঠেন। সেটা মর্যাদাপূর্ণ বড় কোন ফুটবলের আসরে নয়। ১৯৭৪ সালে নরসিংদীর অজ পাড়াগাঁয়ের এক ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলায়। সেখানে ফাইনালে পুরো ব্রাদার্স ইউনিয়ন দলকে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দল চালাতে গিয়ে ফুটবল দলের মালিক তার শেষ সম্বল হালের গরুটি ১১০০ টাকায় বিক্রি করেন। ফাইনালে মাঠে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। আশপাশের গাছগুলোতেও দর্শকে টইটুম্বর। প্রথমার্ধেই সেই মালিকের দল ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে। মান ইজ্জত আর টাকার শোকে মালিক অজ্ঞান হয়ে যান। এসব দেখে মনটা ঝটকা দিয়ে ওঠে। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠের চিত্রপট পুরোই বদলে যায়। মাঠে নেমেই পর পর একাই করলেন তিন গোল। দল জয়লাভ করে ৩-২ গোলে। সেই জয়ের স্বাদ আজও যেন তার কাছে অম্লমধুর। তিনি বাংলাদেশ ফুটবলের মধ্যমাঠের সুদক্ষ কারিগর ড্রিবলিং মাস্টার হাসানুজ্জামান বাবলু। বাংলাদেশ ফুটবলের সমর্থকরা যাকে এক নামে চেনেন ব্রাদার্সের বাবলু হিসেবে। হাসানুজ্জামান বাবলুর জন্ম রাজশাহী জেলার খাঁ বাড়ি শেখ পাড়ায়। বাবা এ জেড খান ছিলেন সুপারিনটেন্ডেন্ট অব পুলিশ। মা নুরজাহান বেগম যিনি সংসার সামলাতেন। পাঁচ ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি তিন নম্বর। বাবার বদলির চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জেলায় যেতে হয়েছে। তাই তাকেও স্কুল পরিবর্তন করতে হয়েছে ঘন ঘন। তবে যেখানেই যেতেন ফুটবল ছিল তার নিত্যসঙ্গী। স্বাধীনতাযুদ্ধের ঠিক আগে ছিলেন সিরাজগঞ্জে। সেখানে আন্তঃস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতায় সেরা ফুটবলারের পুরস্কারটি করায়ত্ত করেন। সেখান থেকেই স্বপ্ন বড় ফুটবলার হওয়ার। বন্ধুরা তাকে বলতেন ঢাকায় গিয়ে খেলার কথা। কিন্তু পরিবারের কর্তাদের সম্মতি ছিল না। মাথার মধ্যে শুধুই ঘুরপাক করত কিভাবে ঢাকায় গিয়ে ফুটবল খেলা যায়। স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে এসএসসি পরীক্ষা শেষে নানির বাড়ি পাবনায় যাবেন বলে মার কাছ থেকে দুই টাকা নেন। আর বাড়ি থেকে বের হয়েই সোজা ঢাকার গোপীবাগে বড় বোনের বাসায়। দুলাভাই আবুল কাসেম ফুটবলের বড় ভক্ত হওয়ার কারণে সে যাত্রা রক্ষা পান বাবলু। ঢাকায় বাবলু ব্রাদার্সে ১৯৭৩ সালে তৃতীয় বিভাগ ফুটবল দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। ’৭৩ সালে তৃতীয় বিভাগ এবং ’৭৪ সালে দ্বিতীয় বিভাগ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয় ব্রাদার্স। সে সময়ই বাবলু-মহসিন জুটির নাম ছড়িয়ে পড়ে ফুটবলাঙ্গনে। আরও দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে নবাগত হয়ে ১৯৭৫ সালের লীগে আবাহনীর সঙ্গে প্রথম মোকাবেলাতেই জয়লাভ করার পর। এর পর থেকে বাবলুকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। শীর্ষস্থানীয় দুই দল মোহামেডান-আবাহনীতে খেলা শুরু না করলেও জাতীয় দলে জায়গা করে নেন হাসানুজ্জামান বাবলু ১৯৭৫ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত। বাংলাদেশ ফুটবলের এমন জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে আপনার কেমন লাগে আর কেনইবা এই হাল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘লজ্জা লাগে’। একজন ফুটবলার হিসেবে দেশের ফুটবল ভাল হলে যেমন গর্ব বোধ করি ঠিক খারাপ হলে তার উল্টোটা। আসলে ফুটবলের এই জরাজীর্ণ অবস্থা কিন্তু হুট করে হয়নি। এইটা ধারাবাহিক ফল। প্রতিটা ক্ষেত্রে চূড়ান্ত পর্বে ভাল করতে হলে তার প্রস্তুতি থেকেই নজর দিতে হবে। তা না হলে ফলাফল যা হওয়ার তাই হবে। আপনার পরিকল্পনার পাইপ লাইন ঠিক না করে শুধু দফায় দফায় কোচ বদল আর টাকা খরচ করলেই ফুটবলের উন্নতি হবে না। আপনি স্বপ্ন দেখাবেন আর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যেটা করণীয় সেটা করবেন না তাহলে কিভাবে হবে । কিন্তু ফুটবল তো মাঠে আছে নিয়মিত তাহলে সমস্যা কোথায়? বাবলু জানান, একজন ছাত্র পড়ার টেবিলে বসে থাকলেই ফলাফল ভাল হয় না। এর জন্য প্রয়োজন প্রোপার গাইডেন্সের। বাংলাদেশের ফুটবল এক জায়গায় বসে আছে। লীগ শুধু ঢাকায়। আর কোথাও কোন লীগ কিংবা টুর্নামেন্ট নাই। ফুটবল এখন ঢাকাকেন্দ্রিক। যার কারণে খেলার এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে মানের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮২ সাল টানা ৮ বছর ব্রাদার্স ইউনিয়নে খেলেছেন। দল পরিবর্তন করে ১৯৮৩ সালে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে এবং ১৯৮৪ সালে আবাহনী ক্রীড়াচক্রে খেলেন। ১৯৮৫ সালে ওয়ান্ডার্সে এবং ১৯৮৬ সালে পুনরায় ফিরে যান ব্রাদার্সে। ওই বছর কয়েকটি ম্যাচ খেলার পর তিনি অবসর নেন। তবে ব্রাদার্সেই তার সেরা দিনগুলো কেটেছে। সে সময় অসাধারণ খেলেন। মূলত মিডফিল্ডার হলেও তার পা থেকে এসেছে অসংখ্য গোল। ১৯৭৮ ও ১৯৭৯ সালে তিনি ছিলেন লীগের দ্বিতীয় সর্বাধিক গোলদাতা। ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতাসম্পন্ন এই মিডফিল্ডার ঢাকা লীগে ৭০-৭৫টি গোল করার বিরল গৌরব অর্জন করেন। তবে বাবলু ঢাকা লীগে শিরোপার স্বাদ পান ১৯৮৪ সালে আবাহনীর হয়ে খেলার সময়। ১৯৮১ সালে ব্রাদার্স ইউনিয়ন আগাখান গোল্ডকাপ ফুটবলের শিরোপা জয় করে। আর এ শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে তার সৃষ্টিশীল ও চোখ জুড়ানো নৈপুণ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ১৯৮০ সালে তার অধিনায়কত্বে ব্রাদার্স ইউনিয়ন প্রথমবারের মতো ফেডারেশন কাপ ফুটবলে মোহামেডানের সঙ্গে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়। দেশের হয়ে বহু আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন বাবলু। এর মধ্যে ১৯৭৫ সালে আগাখান গোল্ডকাপে থাইল্যান্ডের রাজবীথি দলের সঙ্গে চমৎকার খেলেন তিনি। ঢাকার মাঠে স্মরণীয় ম্যাচ প্রসঙ্গে বাবলু বলেন, সেটা ১৯৮২ সালের ফেডারেশন কাপে আবাহনীর বিরুদ্ধে। সেবার ব্রাদার্সের দলের অবস্থা ভঙ্গুর ছিল। ডিফেন্ডার আজমত ইঞ্জুরিতে। মোহসিন খুলনায় খেলতে গিয়ে বোমার আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত। সবাই ভেবেছিল ব্রাদার্স কমপক্ষে ৫-৬ গোল খাবে। মোহসিন মাঠের বাইরে অথচ তার টেনশনটা খুব বেশি কাজ করছিল। আমি মোহসিনকে আশ্বাস দিয়েছিলাম জানবাজি রেখে শুধু তোর জন্যই খেলব। আমরা সে ম্যাচটা অসাধারণ খেলে আবাহনীর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করি। বাবলু ১৯৯১ সালে হংকংয়ে গিয়ে এএফসি-ফিফার অধীনে কোচিং কোর্স করে আসেন। দেশে ফিরে বাফুফের অধীনে অনুর্ধ-১৬ জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় অনুর্ধ-১৯ দল ছাড়াও বয়সভিত্তিক নানা দলের কোচ হয়েছেন। ক্লাব ফুটবলে ব্রাদার্সের কোচ ছিলেন দুই বছর। এরপর ১৯৯৯ সালে মোহামেডানের কোচ হয়ে দলকে লীগ চ্যাম্পিয়ন করান। জাতীয় দলের কোচ ছিলেন ২০০০, ২০০৩ ও ২০০৬ সালে। ২০০৭ সালে ইন্দো-বাংলায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোচিং ক্যারিয়ার শেষ করেন। এরপর কোচিং ছেড়ে ঢুকে পড়েন বাফুফেতে। আপনার দেখা সেরা খেলোয়াড় এবং কোচ কে? বাবলু জানান, সেরা খেলোয়াড় মোহসিন এবং ওয়াসিম আর কোচ অবশ্যই গফুর বালুচ। যিনি আমাকে শিখিয়েছেন একজন আদর্শ খেলোয়াড় হতে হলে কিভাবে নিজেকে তৈরি করতে হয়। তিনি শিখিয়েছেন একজন আদর্শ খেলোয়াড়ের ভূমিকা মাঠে কি রকম হওয়া উচিত। বাবলু খেলতেন সারা মাঠজুড়ে। তাকে আটকে রাখা প্রতিপক্ষের জন্য ছিল দুরূহ কাজ। রক্ষণভাগ যত শক্তিশালীই হোক না কেন তা ভেদ করে অবলীলায় ঢুকে যেতেন বিপক্ষ সীমানায়। তিনি বল পায়ে ছিলেন খুবই বিপজ্জনক। রিসিভিং ও বল কন্ট্রোল ছিল চমৎকার। চলন্ত বলে দুর্দান্ত পাস দিতেন তিনি। বাসা থেকে মাঠে যেতেন বল পায়ে ড্রিবলিং করতে করতে। আবার প্র্যাকটিস শেষে বাসায় ফিরতেন ঠিক একই ভঙ্গিমায়। সব সময় তিনি থাকতেন অনুশীলনের মধ্যে। যার কারণে বল দখলের লড়াইয়ে তিনি থাকতেন সবার আগে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে যত গুণ থাকা প্রয়োজন তার সবটুকুই ছিল হাসানুজ্জামান বাবলুর। এ কারণে পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতির পুরস্কার। পেয়েছেন ২০০৬ সালে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। খেলোয়াড়ি জীবনে আপনার একটি নাম দিয়েছিল সমর্থকরা। প্রশ্ন শেষ করতে না করতেই হাসতে হাসতে বাবলু বলেন, ‘আমাশা বাবলু হাহ হাহ হাহ’। সেটা দ্বিতীয় বিভাগের এক গুরুত্বপূর্ণ খেলায় আমার ব্লাড ডিসেন্ট্রি হয়। কোচ গফুর বালুচ আমাকে সে ম্যাচে নামাবেনই। আমি কয়েকবার মাঠ থেকে উঠে গিয়েছি। পরবর্তীতে সমর্থকরা বিষয়টা আঁচ করতে পারে। তার পর থেকেই আমার নাম হয়ে যায় আমাশা বাবলু হাহ হাহ হাহ। আমি এই বিষয়টা খুব উপভোগ করি। আপনাদের সময়ের সেই ব্রাদার্স ক্লাব আর এখনকার ব্রাদার্স ক্লাবের মাঝে কি কোন তফাৎ আছে? প্রশ্ন শুনে ষাটোর্ধ হাসানুজ্জামান বাবলু নীরব হয়ে যান। বলেন অনেক তফাৎ। আমরা যখন খেলেছি তখন গোপীবাগে বাসায় বাসায় গিয়ে পাঁচ-দশ টাকা করে তুলে নিজেরাই ক্লাব চালিয়েছি। কত মহব্বত আর আন্তরিকতা ছিল খেলোয়াড়, ক্লাব কর্মকর্তা আর কোচের সঙ্গে। তখন গোপীবাগের মানুষদের জন্য ব্রাদার্সের জন্য সর্বোপরি নিজের জন্য ভাল খেলার একটা উৎসাহ কাজ করত। কখনও বাণিজ্যিক চিন্তা করতাম না আমরা। আর এখন কোথায় পাবেন সেই আন্তরিকতা কোথায় সেই মহব্বত কোথায় সেই ভালবাসা। সবকিছু যেন বাণিজ্যিকে রূপ নিয়েছে। কষ্ট হয় তা দেখলে। তরুণ প্রজন্মের প্রতি আপনার কি উপদেশ? বাবলু বলেন, কঠোর অনুশীলন, শৃঙ্খলা এবং নিয়মানুবর্তিতা। যারা এই তিনটি জিনিস ব্যক্তিগত জীবনে মেনে চলতে পারবে তারাই শুধু ভাল ফুটবলার হিসেবেই নয় একজন ভাল মানুষ হিসেবেও সমাজে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে। ফুটবলের মোহ তাকে আকৃষ্ট করেছিল। আর তাই তো জীবনের শুরুতেই মার কাছ থেকে দুই টাকা নিয়ে পরিবারের সবাইকে ফাঁকি দিয়ে চলে আসেন ঢাকায়। নেমে পড়েন ফুটবলের কঠিন পরীক্ষায়। সে পরীক্ষায় তিনি উতরে গেছেন ভালভাবেই। তার কঠোর অনুশীলন, শৃঙ্খলা আর নিয়মানুবর্তিতা তাকে নিয়ে গেছে ফুটবলের চরম শিখরে। ফুটবলের এমন দুর্দিনেও তিনি স্বপ্ন দেখেন দেশের ফুটবল একদিন জাগ্রত হবে। সে লক্ষ্যে তিনিও ডাক পেলেই ছুটে যান ফুটবলের যে কোন আসরে। মোটা চশমার গ্লাসে খুঁজতে থাকেন ফেলে আসা দিনগুলোকে। খুঁজতে থাকেন স্মৃতির পাতায় হারিয়ে যাওয়া আরমান মিয়া, রুম্মান বিন ওয়ালি সাব্বির, কায়সার হামিদ, আশরাফ উদ্দিন চুন্নু, আশিস ভদ্র, মাহমুদুল হক লিটন এবং খন্দকার ওয়াসিম ইকবালদের। বাবলু বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৮০ সালে। সাইফুদ্দীন আহমেদ মানিক ভাই ও তার বন্ধু সেলিমের ছোট বোনকে। দুই ছেলে এবং স্ত্রী শাহিদা শামীমকে নিয়ে চমৎকার সুখের সংসার। স্ত্রী একটি প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে এখনও কর্মরত আছেন। বড় ছেলে শাহেদ হাসান খান বিদেশী ব্যাংকের একটি ডিপার্টমেন্টের প্রধান। ছোট ছেলে নাভিদ হাসান খান বাংলালিংকে কর্মরত। ফুটবলার বাবলু এখনও নিয়মিত বিকেলে ফুটবল প্র্যাকটিস করতে ছুটে যান সোনালি অতীত ক্লাব মাঠে।
×