নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ কুয়াকাটায় সড়ক দখল করে তোলা ১২০ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। রবিবার আট টায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক খননযন্ত্র, ট্রাক নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। কুয়াকাটা পর্যটন এলাকায় সহাসড়কের অধিগ্রহণকরা ৭০ ফুট জায়গার মধ্যে থাকা এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের খুলনা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল ইসলাম এবং পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজামউদ্দিন আহম্মেদ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
অভিযানে আবাসিক হোটেল সমুদ্র বিলাস, হোটেল সাগর ছায়া, হোটেল সূর্যোদয়, হোটেল রিয়াজসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ১২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। চলমান উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম দিন সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে। কুয়াকাটা শুন্য পয়েন্ট থেকে শেখ রাসেল সেতু পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে বলে সওজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। পটুয়াখালী পর্যন্ত ৭০ কিমি সড়কে আগামী সাতদিন এ অভিযান চলবে।
তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের মালিকানা নির্মাণাধীন আবাসিক হোটেল হানিমুন প্যালেসের সামনের অংশসহ বেড়া অপসারণ করা হয়নি বলে জানানো হয়। অভিযানে মহিপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন।
পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজামউদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধিগ্রহণকৃত জায়গা থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। আজ (রবিবার) সকালে কুয়াকাটা থেকে উচ্ছেদ শুরু করেছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পটুয়াখালী চৌরাস্তা পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিমি মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
উল্লেখ, বর্তমানে মূল সড়কটি ৩৫ ফুট রয়েছে। এর মাঝখান থেকে দু’পাশে আরও ৩৫ ফুট করে মোট ৭০ ফুট জায়গা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর অধিগ্রহণ করে। ইতোমধ্যে ওই অধিগ্রহণকৃত জায়গার ক্ষতিপূরণ জমির মালিকরা উত্তোলন করলেও তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি। আবার কেউ কেউ একবার সরিয়ে ফের স্থাপনা তুলেছে। উল্লেখ্য শেখ রাসেল, শেখ জামাল ও শেখ কামাল সেতুর নিচে সড়ক ও জনপথের অধিগ্রহণ করা সড়ক দখল করে সবচেয়ে বেশি স্থাপনা তোলা হয়েছে। মহিপুর বন্দরে আবার সরকারি দলের প্রভাবশালী মহল টাকার বিনিময়ে স্থাপনা তুলে ভাড়া দিয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: