ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্লাস্টিকের বস্তায় চাল আমদানিতে দামে প্রভাব পড়বে না

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

প্লাস্টিকের বস্তায় চাল আমদানিতে দামে প্রভাব পড়বে না

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চালের দাম কমাতে সরকার আগামী তিন মাস (২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত) চটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। তবে এ উদ্যোগে চালের দাম কমার ক্ষেত্রে কোন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন হিলি বন্দরের চাল আমদানিকারকরা। দুই ধরনের বস্তায় দামের পার্থক্য খুব কম। ফলে চালের দামের ক্ষেত্রে খুব একটা উনিশ-বিশ হবে না বলে অভিমত তাদের। হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারকদের দাবি, ৫০ কেজি চাল ধরে এমন একটি চটের বস্তার দাম ৫০ টাকা। আর একটি প্লাস্টিকের বস্তার দাম ১৫ টাকা। দুই ধরনের বস্তার দামের পার্থক্য ৩৫ টাকা। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি চাল ধরলে চটের বস্তার কারণে চালের দামের ওপর প্রভাব পড়ছে কেজিতে এক টাকা। আর প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহারের ফলে দামের ওপর প্রভাব পড়ছে ৩০ পয়সা। এতে করে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহারের ফলে দামের পার্থক্য হচ্ছে ৭০ পয়সা। কিন্তু এই দামে আমদানিকারকদের কোন লাভ হবে না। ভারতীয় মিল মালিকরাই এতে লাভবান হবে। এ ব্যাপারে হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক হারুন উর রশীদ ও রাজিব দত্ত জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর চালকল মালিক ও চাল আমদানিকারকদের নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, চাল আমদানিতে পাটের বস্তা ব্যবহারের পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহারের সুযোগ দিলে চালের দাম কেজিপ্রতি দুই টাকা করে কমবে। কিন্তু বাস্তবে চালের দামে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না। নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক আমদানিকারক বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে যেসব চালকল মালিক ও আমদানিকারকরা চটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছেন, তাদের মধ্যে দুই-একজনের বড় বড় প্লাস্টিকের বস্তা তৈরির কারখানা আছে। বর্তমানে প্লাস্টিকের বস্তা না চলার কারণে তাদের কারখানাগুলো বন্ধের উপক্রম। এমন অবস্থায় চাল আমদানি ও পরিবহনে চটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহারের অনুমতি দেয়ায় শুধু তারাই লাভবান হবেন। তারপরও সরকারী ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই চটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তায় ভারতীয়রা চাল রফতানি করতে পারবে না বলেও জানান আমদানিকারকরা। তাদের দাবি, ভারতের যেসব মিল থেকে চাল আমদানি করা হয়, সেসব মিলে প্রচুর পরিমাণে চটের বস্তা রয়েছে। তাতে করে আগামী এক মাসেও চটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল রফতানি শুরু করতে পারবেন না ভারতীয় রফতানিকারকরা। এ ব্যাপারে হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, বন্দর দিয়ে বর্তমানে ভারত থেকে যেসব চাল আমদানি হচ্ছে, তা চটের বস্তাতেই আসছে। এখনও প্লাস্টিকের বস্তার ব্যবহার শুরু হয়নি।
×